Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Mukesh Ambani

মুকেশ অম্বানীকে হুমকি চিঠিতে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন যোগ? তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল তিহাড় জেলে তহসিনের ব্যারাকে গিয়ে তল্লাশি চালায়। সেই সময়ই তাঁদের হাতে একটি মোবাইল ফোন আসে।

মুকেশ অম্বানী। (ডান দিকে) ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি তহসান আখতার।

মুকেশ অম্বানী। (ডান দিকে) ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি তহসান আখতার।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২১ ১৩:৫৬
Share: Save:

মুকেশ অম্বানীকে দেওয়া হুমকি চিঠি প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, চিঠিটি এসেছে দিল্লির তিহাড় জেলের ভিতর থেকে। সেই চিঠির সূত্র ধরে নাম উঠে এসেছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য তহসিন আখতারের। ঘটনাচক্রে, তহসিন তিহাড় জেলেই বন্দি রয়েছে।

মুকেশের বাড়ির সামনে বিস্ফোরক সমেত স্করপিও থেকে যে চিঠি উদ্ধার হয়েছিল তাতে জইশ-উল হিন্দ জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম লেখা ছিল। ওই জঙ্গিগোষ্ঠী হুমকি চিঠির দায় স্বীকারও করে। কিন্তু পরে আবার তারা সেটা অস্বীকার করায় বিষয়টি নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়। জইশ-কে তাঁদের তদন্তের আওতায় রাখলেও, তার বাইরেও অন্য সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই দিল্লি তিহাড় জেলের বিষয়টি সামনে আসে।

দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল তিহাড় জেলে তহসিনের ব্যারাকে গিয়ে তল্লাশি চালায়। সেই সময়ই তাঁদের হাতে একটি মোবাইল ফোন আসে। দিল্লি পুলিশের দাবি, সেই ফোন থেকেই টেলিগ্রাম অ্যাপ-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। টোর ব্রাউজার ব্যবহার করে টেলিগ্রাম-এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই অ্যাপকে ব্যবহার করেই মুকেশের বাড়িতে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। ফোনটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর সভার সময় পটনায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল তহসিন। হায়দরাবাদ এবং বোধগয়ার বিস্ফোরণের সঙ্গেও জড়িত ছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে, আরও একটি ফোন নম্বরের খোঁজ করা হচ্ছে। সেই নম্বরটি আবার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে কেনা হয়েছিল।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশ অম্বানীর বাড়ি অ্যান্টিলার কয়েক মিটার দূরে জিলেটিন স্টিক-সহ একটি পরিত্যক্ত গাড়ি উদ্ধার হয়। সেই গাড়ি থেকে একটি হুমকি চিঠিও পাওয়া গিয়েছিল। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটির মালিক ঠাণের এক গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেনের। ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই মনসুখের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়। কী ভাবে মৃত্যু হল মনসুখের, নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে আলাদা ভাবে তদন্ত করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE