Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Mumbai Bandstand Murder

সঙ্গমে নারাজ হওয়ায় মেডিক্যাল ছাত্রীকে খুন ‘বন্ধু’র, ১৭৯০ পাতার চার্জশিটে দাবি পুলিশের

বছর দুয়েক আগে ওই মেডিক্যাল পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগে মঙ্গলবার মিট্টু নামে ওই লাইফগার্ডের বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রায় ২ হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে মুম্বই পুলিশ।

Representational picture of murder

সদিচ্ছা সানেকে খুনের অভিযোগে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি মিট্টু সচদেহ সিংহকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:০০
Share: Save:

ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতানোর কয়েক ঘণ্টা পর আরব সাগরের তীরে মিট্টু সুখদেব সিংহের সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল সদিচ্ছা সানে-কে। সেখানে নিজস্বীও তুলেছিলেন দু’জনে। তার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না সদিচ্ছার। বছর দুয়েক আগে ওই মেডিক্যালের পড়ুয়াকে খুনের অভিযোগে মঙ্গলবার মিট্টু নামে ওই লাইফগার্ডের বিরুদ্ধে ১,৭৯০ হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। তাতে পুলিশের দাবি, যৌনসঙ্গমে রাজি না হওয়ায় সদিচ্ছাকে খুন করে তাঁর দেহ আরব সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন মিট্টু।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চার্জশিটে মিট্টুর পাশাপাশি তাঁর বন্ধু জব্বার আনসারির বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছে মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর সদিচ্ছাকে খুনের অভিযোগ উঠলেও তাঁর দেহ উদ্ধার হয়নি। অপরাধতত্ত্ব মেনে এ ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির সঙ্গে সদিচ্ছাকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল, সেই ব্যক্তি অর্থাৎ মিট্টুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যমে ‘মুম্বই ব্যান্ডস্ট্যান্ড মার্ডার’ নামে পরিচিতি পায় এই খুনের ঘটনা। পুলিশের দাবি, ২০২১ সালে ২৯ নভেম্বর ভোরে সদিচ্ছাকে ফেসবুকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেন ৩২ বছরের মিট্টু। বান্দ্রার ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকার লাইফগার্ড মিট্টুর একটি চাইনিজ় খাবারের স্টলও ছিল। ঘটনার দিন মিট্টুর সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন সদিচ্ছা।

তদন্তকারীদের দাবি, ২৯ নভেম্বর দুপুর ২টোয় পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল মুম্বইয়ের গ্র্যান্ট মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ২২ বছরের সদিচ্ছার। ওই দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিরার স্টেশনে ৯টা ৫৮-র ট্রেন ধরেন তিনি। গন্তব্য ছিল অন্ধেরি। তবে সেখানে ট্রেন থেকে নেমে পরীক্ষা দিতে যাননি তিনি। উল্টে আর একটি ট্রেনে চেপে বান্দ্রা স্টেশনে নামেন তিনি। এর পর অটোয় বান্দ্রার ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকায় যান। সেখানেই মিট্টুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পর দু’জনে আরব সাগরের তীরে ঘোরাফেরা করেন।

২৯ নভেম্বর বইসার থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ায় অভিযোগ করেন সদিচ্ছার বাবা। পরে সেই কেসটি বান্দ্রা থানায় পাঠানো হয়েছিল। গত বছরের ১৩ জানুয়ারি মিট্টু এবং আনসারিকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা।

চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে ১২৫ জনের বয়ান রেকর্ড করে মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা। মিট্টুর দোকানের কর্মীদের দাবি, সদিচ্ছার সঙ্গে মিট্টু যৌনসঙ্গম করেছেন কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন আনসারি। এমনকি, তাঁদের কথাবার্তার সময় মিট্টুর ‘কুমতলবে’র বিষয়টি ধরা পড়েছিল। ঘটনার দু’দিন পর আরব সাগর থেকে একটি দেহ ভাসতে দেখে মিট্টু নাকি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আনসারিকে বলেছিলেন, ‘‘যাক! ওই দেহটি পুরুষের। তা না হলে আমরা দু’জনেই জেলের ভিতরে থাকতাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE