বল্লভগড়ের পর এ বার ঝাড়খণ্ডের গিরিডি। গোরক্ষকদের তাণ্ডব যেন থামছে না কিছুতেই! গত দু’বছরে ধরে মাসে প্রায় একটা করে এমন আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গোরক্ষকদের হাতে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মারাও গিয়েছেন কয়েক জন। মহম্মদ আখলাক থেকে উসমান— তালিকাটা দীর্ঘ হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে গোরক্ষকদের হাতে গুরুতর জখম মহম্মদ উসমান আনসারি। আক্রমণকারীদের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁর পরিবারের লোকজনও। উসমানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গিরিডি জেলার দেওরি থানা এলাকার বেরিয়া-হাতিটাঁড় গ্রামে গত কাল রাতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসেছে। এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারিও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গিরিড শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরের ওই গ্রাম সংলগ্ন বাজারে একটি মৃত গরু পড়ে থাকতে দেখা যায়। গরুটির গলায় কাটা দাগও ছিল। ওই অবস্থায় গরুটিকে পড়ে থাকতে দেখে কিছু লোকের সন্দেহ গিয়ে পড়ে উসমানের উপর। ওই গ্রামেই উসমান গরুর দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী বিক্রি করে। এর পরেই শ’খানেক লোক উসমানের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে পাথড় ছুড়তে থাকে। পরিবারের সদস্যেরা বাইরে বেরিয়ে এলে, তাঁদের মারধর শুরু করে হামলাকারীরা। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকেও পড়তে হয় প্রতিরোধের মুখে। রাস্তা অবরোধ করে পুলিশের উপর ইট বৃষ্টি শুরু করে উত্তেজিত জনতা। প্রায় দু’ঘন্টার চেষ্টায় পুলিশ উসমান ও তাঁর পরিবারকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসে।