Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
PFI

সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াচ্ছে পিএফআই, নিষিদ্ধ করা হোক, দাবি কর্নাটকের উলেমা সংগঠনের

হয়েছে। ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতে’র সভাপতি মৌলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বারেলভি শনিবার পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ এবং ইডির অভিযানকেও খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছেন।

কর্নাটকের হুবলিতে পিএফআই-পন্থীদের বিক্ষোভ।

কর্নাটকের হুবলিতে পিএফআই-পন্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৩৬
Share: Save:

কট্টরপন্থী গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন। কর্নাটকের মুসলিমদের একাংশ কিন্তু সেই স্রোতে গা ভাসাতে নারাজ। বেলগাভির উলেমা সংগঠনের তরফে পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে। ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতে’র সভাপতি মৌলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি বারেলভি শনিবার এক ভিডিয়ো-বক্তৃতায় এই দাবি তুলেছেন।

দু’মিনিটের ওই ভিডিয়ো বক্তৃতায় রাজভি বলেছেন, ‘‘ইসলামি মৌলবাদী গোষ্ঠী পিএফআই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় জড়িত।’’ ওই পরিস্থিতিতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বুধবার রাত থেকে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু করেছে, তা সমর্থন করেছেন তিনি।

বুধবার মধ্যরাত থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫টি রাজ্যের শতাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ এবং ইডি। সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমা সালেম-সহ একাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতে বিক্ষোভ শুরু করেছে কয়েকটি মুসলিম সংগঠন। এমনকি, কর্নাটকের হুবলিতেও শনিবার পিএফআই-পন্থীদের হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদের সূত্রে দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পিএফআই-এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিজেপি মুখপাত্র (বর্তমানে সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পর উত্তরপ্রদেশে হিংসার ‘মূল ষড়যন্ত্রী’ হিসাবে পিএফআই-কে চিহ্নিত করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার অন্য দিকে, বছর দু’য়েক আগে বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় এসডিপিআই এবং ‘আল হিন্দ’-এর মতো কট্টরপন্থী সংগঠনের নাম উঠে এসেছিল।

কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত ২৯ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পিএফআই-সহ কয়েকটি কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন এনআইএ, ‘র’, গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি)-এর আধিকারিকেরা। পিএফআইয়ের পাশাপাশি ওই বৈঠকে দক্ষিণ ভারতে সক্রিয় কট্টরপন্থী গোষ্ঠী ‘সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া’ (এসডিপিআই)-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত,ভারতীয় মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে ২০০৬ সালে পিএফআই গঠিত হয়েছিল। কিন্তু গোড়া থেকেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ ভারতে কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তী সময়ে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতেও সংগঠনটির সক্রিয়তা বাড়ে। গোয়েন্দাদের মতে, নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (সিমি)-র মুখ হিসেবে হিংসাত্মক কার্যকলাপে গত দেড় দশক ধরে মদত দিয়ে এসেছে পিএফআই। সিমি-র অধিকাংশ সদস্যই পিএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

PFI NIA ED Karnataka Muslim Community terror
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE