আটকায়নি গঙ্গাবিলাস! নিরাপত্তার কারণেই রাখা হয় গঙ্গার মাঝে, বিবৃতি পরিচালন সংস্থার। ফাইল চিত্র।
মাঝগঙ্গায় আটকে যায়নি প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস। বরং এই সংক্রান্ত যাবতীয় খবরকে ‘ভুয়ো’ বলে উড়িয়ে দিল প্রমোদ তরীটির পরিচালন সংস্থা এক্সোটিক হেরিটেজ গ্রুপ।
সোমবার সংস্থাটির চেয়ারম্যান রাজ সিংহ ‘এনডিটিভি’কে জানিয়েছেন, গঙ্গা বিলাস সূচি মেনেই পটনায় পৌঁছেছে। গঙ্গার অগভীর অংশে প্রমোদতরীটির আটকে যাওয়ার খবরকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, “গঙ্গার মূল প্রবাহপথ ধরেই এগিয়েছে গঙ্গাবিলাস। গঙ্গাবিলাসের মতো বড় জাহাজের নদীর তীর ধরে এগোনো সম্ভব নয়।”
এর আগে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছিল, বিহারের ছপড়ার কাছে কূলে ভিড়তে গিয়ে গঙ্গায় আটকে যায় গঙ্গা বিলাস। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মেনেই জেটিতে নিয়ে যাওয়া হয়নি প্রমোদ তরীটিকে। এ প্রসঙ্গে তিনি নিরাপত্তার কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বহু মানুষ গঙ্গা বিলাসকে দেখতে জেটির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। যাত্রীদের গোপনীয়তা এবং গঙ্গা বিলাসের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেটাকে মাঝগঙ্গায় রাখা হয়।” যাত্রীরা সেখান থেকেই বোটে চেপে চিরান্দ প্রত্নক্ষেত্রের উদ্দেশে যান।
এর আগে ছপরা জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, গঙ্গার ওই অংশে জল কম থাকার জন্য প্রমোদতরীটি কূলে ভিড়তে গিয়ে এক জায়গায় আটকে যায়। তবে যাত্রীদের যে নির্বিঘ্নে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে, তা-ও জানানো হয়েছিল।
গত ১৩ জানুয়ারি বেনারসে গঙ্গা বিলাসের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রমোদতরীটি উত্তরপ্রদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ হয়ে তা শেষ করবে অসমের ডিব্রুগড়ে। ৫১ দিন ধরে ভারত ও বাংলাদেশের নানা দ্রষ্টব্য স্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার কথা গঙ্গাবিলাসের। ভারতের কোনও ব্যক্তিকে গঙ্গা বিলাসের এক দিনের বাসিন্দা হলে গুনতে হবে ২৫ হাজার টাকা। আধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন গঙ্গা বিলাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বেশ উচ্চগ্রামে প্রচার করা হলেও, পরিবেশবিদদের একাংশ গঙ্গার কম নাব্যতায় প্রমোদতরীটি চলতে পারবে কি না, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy