হরিয়ানার মডেল শীতল চৌধরির খুনে রহস্য বাড়ছে। শীতলকে খুন করে সেটিকে দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁর ‘প্রেমিক’ সুনীল। তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শীতলের সঙ্গে দেখা করেন সুনীল। তাঁরা দু’জনে গাড়িতে বসে মদ্যপান করেন। সেই সময় দু’জনের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। আর তার পরই শীতলকে মারধর করা শুরু করেন সুনীল। শীতলের বোন নেহার দাবি, শনিবার রাতে তাঁর দিদির ফোন এসেছিল। কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, তাঁর ‘প্রেমিক’ সুনীল মারধর করছেন। তার পরই শীতলের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার থেকে শীতলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেনি তাঁর পরিবার।
রবিবার সকালে হরিয়ানার পানিপতে দিল্লি প্যারালাল খালে একটি গাড়ি ভাসতে দেখেন স্থানীয়েরা। গাড়ির ভিতর থেকে সুনীলকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু শীতলের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার খারখোড়ার কাছে খাল থেকে সোনমের গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত সুনীল দাবি করেন, গাড়ি চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গিয়েছিল। তিনি কোনও রকমে সাঁতরে পাড়ে চলে আসেন। গাড়ি থেকে বার হতে পারেননি শীতল। ফলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে সুনীলের এই দাবি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তার মধ্যেই সোমবার শীতলের দেহ উদ্ধার হয় খাল থেকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যা, শীতলের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। গলার নলি কাটা ছিল। তার পরই সুনীলকে আরও চেপে ধরেন তদন্তকারীরা। ক্রমাগত জেরার মুখে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করেন সুনীল, এমনটাই দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।