২৪ নভেম্বর: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের ভিডিয়ো বৈঠকে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। করোনা সংক্রমণ রোধে নিজের রাজ্যের সাফল্যের কথা তুলে ধরছিলেন তিনি। কিন্তু খট্টরকে থামিয়ে দিয়ে নরেন্দ্র মোদী বললেন, “পরিসংখ্যান আছে কেন্দ্রের কাছে। সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপ কী করা হয়েছে, তা বলুন।”
আজ দু’দফায় রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মোদী। প্রথম বৈঠকটি ছিল আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। উৎসবের মরসুমের পরে ওই আটটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। তা রুখতে কী পদক্ষেপ করা যায়, সেই আলোচনা করতেই বৈঠক ডেকেছিলেন মোদী। সেই বৈঠকেই সাফল্যের বিবরণ দেওয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে দিতে কিছুটা থতমত খেয়ে যান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। তখন জানান, সংক্রমিতদের খুঁজে বার করতে কী কী পদক্ষেপ করেছে তাঁর প্রশাসন। পরে সাংবাদিকদেরও খট্টর বলেন, “কাদের প্রথমে প্রতিষেধক দেওয়া হবে, সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্য চায়, স্বাস্থ্যকর্মীদের যেন আগে টিকা দেওয়া হয়।’’
দিল্লির মু্খ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে হাজারখানেক শয্যা বাড়ানোর আবেদন করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে কেজরীবাল জানান, দূষিত বাতাসের কারণে রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। মূলত উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শীতের শুরুতে ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়া দিল্লির বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। রাজ্যগুলি যাতে এই ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সেই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কেজরীবাল।