Advertisement
E-Paper

ইউক্রেনের পরে এ বার ইজ়রায়েল, যুদ্ধে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে শুরু ‘অপারেশন অজয়’

জেরুসালেম, তেল আভিভ-সহ ইজ়রায়েলের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী ভারতীয়দের সংখ্যা ১৮ হাজারেরও বেশি। তাঁদের কেউ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। কেউ পরিষেবা ক্ষেত্রের। কেউ আবার পড়ুয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:২৮
An image of Israel-Palestine Conflict

ইজ়রায়েল ও প্যালেস্তাইন সংঘর্ষ চলতেই থাকছে। ছবি: রয়টার্স।

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে বিমান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন অজয়’। বুধবার রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ কথা জানিয়েছেন।

এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) জয়শঙ্কর লিখেছেন, ‘‘ইজ়রায়েল থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে অপারেশন অজয় শুরু করা হচ্ছে। বিশেষ চার্টার্ড উড়ান-সহ সব ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

জেরুসালেম, তেল আভিভ-সহ ইজ়রায়েলের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী ভারতীয়দের সংখ্যা ১৮ হাজারেরও বেশি। তাঁদের কেউ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। কেউ পরিষেবা ক্ষেত্রের। কেউ আবার পড়ুয়া। শনিবার ভোররাতে প্যালেস্তেনীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাসের রকেট হামলার পর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের জেরে তাঁদের অনেকেই কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজ়াতেও রয়েছেন বেশ কিছু ভারতীয়।

সরকারি সূত্রের খবর, গত বছর শুরু হওয়া রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা এবং পরিকাঠামো কাজে লাগিয়ে সে দেশ থেকে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় কর্মরত এবং ছাত্রছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এ বারেও সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ‘উদ্ধার অভিযান’ শুরু করা কথা ভাবা হচ্ছে। পরিকল্পনা কার্যকর করতে কূটনৈতিক স্থরে ইজ়রায়েল এবং স্বশাসিত প্যালেস্তেনীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিদেশমন্ত্রক। উদ্ধার প্রক্রিয়ার গতি আনতে প্রয়োজনে ভারতীয় বায়ুসেনার সাহায্য নেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে মোদী সরকার।

কিন্তু গাজ়া ভূখণ্ড এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের ক্ষেত্রে অসুবিধা রয়েছে অন্যত্র। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক অঞ্চলে সক্রিয় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বশাসিত প্যালেস্তেনীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নয়াদিল্লির কূটনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু তা মূলত প্রয়াত ইয়াসের আরাফত প্রতিষ্ঠিত এবং ‘ফাতা’র সঙ্গে। প্যালেস্তেনীয় আইনসভায় তারা দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। অন্য দিকে, ‘প্যালেস্তেনিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিল’-এর বৃহত্তম দল কট্টরপন্থী হামাসের সঙ্গে মোদী সরকারের জমানায় অনেকটাই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বস্তুত, শনিবার ভোররাতের হামলার পরে মোদী যে ভাবে প্রকাশ্যে ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে পরিস্থিতি আরও ‘প্রতিকূল’ হয়েছে বলে কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন।

Israel-Palestine Conflict PM Narendra Modi Operation Ajay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy