ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তাঁর সরকারের জয় দেখছেন নরেন্দ্র মোদী। রাজস্থানের সুমেরপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
রাজস্থানে প্রচারের শেষ দিনে হেরাল্ড মামলা ও সনিয়া-রাহুল গাঁধীর কথা টেনে মোদী বলেন, ‘‘গত কাল সুপ্রিম কোর্টে জয় হয়েছে। কোর্ট বলেছে, ওঁদের সব ফাইল খোলার অধিকার ভারত সরকারের রয়েছে।’’ মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত হেরাল্ড মামলায় সনিয়া ও রাহুলের ২০১১-১২ সালের করের হিসেব নতুন করে দেখতে আয়কর দফতরকে ছাড়পত্র দিয়েছে ঠিকই। তবে কোর্টে সনিয়াদের আর্জির ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত করের পুনর্মূল্যায়ন নিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট না দিতে বলা হয়েছে আয়কর দফতরকে। কিন্তু সেই মামলাকে সামনে এনেই সনিয়াদের আক্রমণ করলেন মোদী। কোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশকে জয় হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন।
এর পরেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশ নিয়ে যিনি প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়েছেন, তিনি বরখাস্ত হওয়ার যোগ্য। আর যদি কেউ প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত না করে থাকেন, আদালতে জেতার দাবি তিনি নিজে থেকেই করেন, তা হলে এই সরকার ছুড়ে ফেলার যোগ্য।’’
সুমেরপুরের সভায় চিদম্বরমকেও আক্রমণ করেন মোদী। তাঁর দাবি, এক জন চাওয়ালাই গাঁধী পরিবারের সদস্যদের আদালত পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। জামিন নিতে হয়েছে তাঁদের। হেরাল্ড নিয়ে মোদীর মন্তব্য, ‘‘কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। আয়করে ভুয়ো কোম্পানির নাম করে দুর্নীতি। ওঁদের সরকারের সময়ে সব ফাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মা-ছেলের ফাইল বন্ধ। ওঁরা যা লিখে দিতেন, আধিকারিকেরা সেই ভাবে কাজ করতেন। আমি বলেছি, এ সব বদলাতে হবে। আজ ওঁদের আদালতে যেতে হচ্ছে।’’ মোদীর দাবি, কংগ্রেস জমানাতে লুট চলত। তাঁর শাসনেই সনিয়াদের জামিন নিতে হয়েছে। ভোটারদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘কেউ জামিন নিলে, আপনাদের এলাকায় কেউ কি তাঁকে সম্মান করে? আত্মীয়তার প্রস্তাব নিয়ে বাড়িতে যায়? তা হলে, জামিন পাওয়া লোকেদের হাতে আপনারা রাজস্থানকে ছেড়ে দেবেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy