অভিনন্দন বর্তমান
উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাধালেন প্রধানমন্ত্রী। একই দিনে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলল, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র নিজেদের সেনার হেলিকপ্টারকেই নিশানা করেনি তো? যাতে ৬ জন বায়ুসেনার জওয়ান-সহ এক নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে?
এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী আজ মূলত কংগ্রসকে তোপ দাগতে গিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিতে অনেকে রাষ্ট্রনায়ক সুলভ আচরণ দেখেন, কিন্তু নিজের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সন্দেহ করেন। এটি দুর্ভাগ্যের বিষয়। দেশের মানুষদের এঁদের চিনতে হবে।’’ এ কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘অভিনন্দনের ঘটনার পরে ভারতের সব দলের এক স্বরে বলা উচিত ছিল, পাকিস্তানের এফ-১৬ ধ্বংস করার জন্য ভারতের সেনার জন্য গর্ব হয়। তা না করে অভিনন্দন কবে ফিরবেন, তা নিয়েই প্রচার চলতে থাকল। কূটনৈতিক স্তরে সরকার যা করার করে। কিন্তু ওরা (বিরোধীরা) মোমবাতি মিছিলেরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (অভিনন্দনকে ভারতে ফেরত পাঠানোর) ঘোষণা করে দেওয়ায় তাদের রাজনীতি ভেস্তে গেল।’’
প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ কথা শুনে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘তা হলে কি জওয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনও চিন্তা নেই? জওয়ানরা কি শুধুই কামানের গুলি-গোলার মতো?’’ একই দিনে কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা টেনে আনেন সে দিনের প্রসঙ্গ, যে দিন অভিনন্দনের ঘটনা ঘটে। সে দিনই শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার এমআই-১৭ ভি-ফাইভ হেলিকপ্টার ভেঙ্গে পড়ে। তাতে এক নাগরিক-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়। পাকিস্তানের বিমান ভারতীয় বায়ুসীমায় ঢুকে পড়ায় ভারতের ‘এয়ার-ডিফেন্স মিশাইল’ সক্রিয় হয়েছিল। তদন্ত হচ্ছে, সেই মিশাইলেই ভেঙে পড়েছে কি না চপারটি। রণদীপ বলেন, ‘‘এটি সত্যি হলে দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর জানানো উচিত। এই ঘটনার জন্য দায়ী কে? তদন্তে কী বেরোল?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy