Advertisement
E-Paper

অসমে চা গাছ বাঁচাতে এগোল নাসা

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসমের চা চাষকে সাহায্য করতে হাত এগোল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’। সাহায্যে এগিয়েছে ইংল্যান্ড ও জাপানের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৫ ০৩:০০

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসমের চা চাষকে সাহায্য করতে হাত এগোল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’। সাহায্যে এগিয়েছে ইংল্যান্ড ও জাপানের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ও।

বিশ্বের অন্যতম চা উৎপাদক রাজ্য অসম। প্রশাসনিক হিসেবে, এ দেশে ৫০ শতাংশ চা অসমেই উৎপাদিত হয়। ৭০ শতাংশ চা আসে উজানি অসমের তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, যোরহাট ও গোলাঘাট থেকে। চা উৎপাদনের অন্যতম প্রধান শর্ত হল অধিক বৃষ্টিপাত। কিন্তু, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে অসমে কয়েক বছর ধরে কম বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও হচ্ছে প্রয়োজনে অতিরিক্ত বৃষ্টি। হচ্ছে বন্যা। গত বছর রাজ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮২৯ মিলিমিটার। কিন্তু এ বছর জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ১১০০ মিলিমিটার। কিন্তু, তাতেও গরম কমেনি।

প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার প্রভাব পড়ছে চা গাছের উপরে। সরকারি সূত্রে খবর, তার জেরে কমছে গুণগতমান। উৎপাদনশীলতা। টোকলাই চা গবেষণা কেন্দ্রের অধিকর্তা এম মুরলীধরণ জানান, রাজ্যে চা চাষের উপরে প্রকৃতির প্রভাব সামলাতে তাঁরা ইংল্যান্ডের ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের কোবে গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। লন্ডনের ‘এথিক্যাল টি পার্টনারশিপের’ সঙ্গেও চুক্তির কথা চলছে। ওই সংস্থা বর্তমানে কেনিয়া চায়ের উপরে আবহাওয়ার প্রভাব নিয়ে কাজ করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ক্র্যানফিল্ডের প্রকল্পের ব্যয়ভার বহন করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। কোবের প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে জাপানের সুমিতোমো ফাউন্ডেসন।

ওই চা গবেষণা কেন্দ্রের তরফে খবর মিলেছে, সেপ্টেম্বর মাস থেকে উত্তর-পূর্বের জমির জলীয় বাষ্পের বিশদ বিবরণ টোকলাইয়ের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চলেছে নাসা। এর ফলে শুধু চা-ই নয়, অন্যান্য ফসলের ফলনও উপকৃত হবে। বিশ্বের ৫০টি সংগঠন জমির মানচিত্র গঠন ও প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ নিয়ে নাসার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। তাদের একটি হল টোকলাই। সেখানকার বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই তথ্য হাতে পেলে সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের পরিকল্পনায় সুবিধা হবে।

মুরলীধরণের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ‘প্ল্যান্ট প্রোটেকশন কোড’ লাগু হওয়ার জেরে কীটনাশকের ব্যবহার সীমাবদ্ধ হয়েছে। এ সবের জেরে চা গাছে পোকা লাগার সমস্যাও বেড়েছে। উল্লেখ্য, ভারতীয় চায়ে কীটনাশকের পরিমাণ বেশি বলে খবর প্রচারিত হওয়ার পরে, বিশ্বের বাজারে ভারতীয় চায়ের গুণমান বজায় রাখার উদ্দেশে এই বছর ১ জানুয়ারি থেকে প্ল্যান্ট প্রোটেকশন কোড চালু করা হয়। কেন্দ্রীয় কীটনাশক বোর্ড ও কৃষি মন্ত্রকের কাছে ওই গবেষণা কেন্দ্রের তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে— চা গাছে পোকার আক্রমণ রুখতে ফ্লুবেনডিয়ামাইড ও এমামেকটিন বেনজোয়েট নামে দু’টি রায়ায়নিক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক। লুপার পতঙ্গ মারতে ওই দু’টি রাসায়নিকই কার্যক্ষম।

NASA Assam tea japan england
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy