ইডি দফতরে রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সাত বছর আগে এই ন্যাশনাল হেরাল্ড-কাণ্ডেই সনিয়া গাঁধী এবং রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে মামলা বন্ধের সুপারিশ করেছিল ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’। সংস্থার তৎকালীন যুগ্ম-অধিকর্তা রাজন কাটোচ অর্থ মন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। কিন্তু সেই মামলাতেই এ বার টানা তৃতীয় দিন রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল।
মঙ্গলবার দফায় দফায় ৮ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কাছ থেকে ‘সন্তোষজনক জবাব’ মেলেনি বলে ইডির একটি সূত্রে জানানো হয়েছে। তাই তাঁকে ফের বুধবার ডাকা হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। বেলা সাড়ে ৩টে থেকে সাড়ে ৪ পর্যন্ত বিরতির পর রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার দু’দফায় ন’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাহুলকে।
সোমবারের অশান্তির জেরে মঙ্গলবার বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন হয় ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে। জারি হয় ১৪৪ ধারা। দু’কিলোমিটার দূরে এপিজে আব্দুল কালাম রোডে ইডি অফিসও কড়া নিরাপত্তার বেড়াজালে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বোন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ইডির দফতরে পৌঁছন রাহুল। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদেরও জমায়েত ছিল। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগে স্লোগান দেন তাঁরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy