Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Amrinder Singh

Punjab: পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছাড়লেন সিধু, দিল্লির ‘শাহ দরবারে’ অমরেন্দ্র

গত ১৮ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের রাজভবনে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ‘বিকল্প পথের’ কথা বলে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ‘ক্যাপ্টেন’।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৪২
Share: Save:

বিধানসভা ভোটের আগে নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহ চলছে পঞ্জাব কংগ্রেসে। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নভজোৎ সিংহ সিধু। দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। সিধু জানিয়েছেন, সভাপতির পদ ছাড়লেও কংগ্রেসের এক জন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে যাবেন।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে অমিত শাহ এবং জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন অমরেন্দ্র সিংহ। বিজেপি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে ওই বৈঠকেই পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবদল চূড়ান্ত হতে পারে। অমরেন্দ্রর মিডিয়া উপদেষ্টা রবিন ঠুকরাল মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘‘অমরেন্দ্র এখন দিল্লিতে ব্যক্তিগত সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবেন। এ নিয়ে অযথা জল্পনার প্রয়োজন নেই।’’

প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার সিধুকে গত ১৫ জুলাই পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর সঙ্ঘাত প্রকাশ্যে আসে। লোকসভা এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সিধু একদা অমরেন্দ্র মন্ত্রিসভারও সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে কংগ্রেসে থাকার কথা জানালেও ইস্তফায় কংগ্রেস সভানেত্রীকে সিধু লিখেছেন, ‘পঞ্জাবের ভবিষ্যৎ এবং উন্নয়নের প্রশ্নে আমি কোনও আপস করব না।’

গত ১৮ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ‘বিকল্প পথের’ কথা বলে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পঞ্জাব রাজনীতির ‘ক্যাপ্টেন’। তার আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে জানিয়েছিলেন, অপমান সহ্য করে তিনি আর দলে থাকতে চান না। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত অমরেন্দ্র দল ছাড়লে কংগ্রেস বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।

আশির দশকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানের প্রতিবাদে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন পাটিয়ালার রাজ পরিবারের সন্তান তথা প্রাক্তন সেনা অফিসার অমরেন্দ্র। যোগ দিয়েছিলেন শিরোমণি অকালি দলে। তবে কয়েক বছর পরে ফের কংগ্রেসে ফিরেছিলেন তিনি। এ বার সিধুর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে অমরেন্দ্রকে। তিনি অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (আপ)-এ যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছিল।

কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের জেরে পঞ্জাব রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিজেপি। দীর্ঘ দিনের সহযোগী অকালি দলও ইতিমধ্যেই এনডিএ জোট ছেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অমরেন্দ্রকে দলে পেলে পদ্ম-শিবির কিছুটা লড়াইয়ের জায়গায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE