—ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র ভোটের মুখে এনসিপি শীর্ষ নেতা শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের মামলা করেছে ইডি। এ বার একটি অন্য মামলায় এনসিপি-রই নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেলকে তলব করল তারা। ১৮ তারিখ পটেলকে ই়ডি-তে হাজিরা দিতে হবে। পটেলের যদিও দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা জল্পনাআশ্রিত। সারবত্তাহীন।
দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ মাদক মাফিয়া ইকবাল মিরচির স্ত্রী হাজরা মেমনের সঙ্গে পটেল সম্পত্তি সংক্রান্ত বোঝাপড়ায় এসেছিলেন বলে ইডি-র অভিযোগ। তাতে ফেরার জঙ্গি মিরচিকে সুবিধা করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। এই নিয়ে বিতর্কের উত্তাপ আরও বাড়িয়েছেন স্বয়ং অমিত শাহ। একটি টিভি চ্যানেলে তিনি বলেছেন, মিরচির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস ছিল। তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে রফা করা দেশদ্রোহিতার সামিল। অমিতের অভিযোগ, পুরো ব্যাপারটাই কংগ্রেস নেতৃত্বের জানা ছিল। ইউপিএ সরকারের বিমানমন্ত্রী ছিলেন পটেল। অমিত দাবি তুলেছেন, ‘‘সনিয়া, রাহুল আর শরদ পওয়ারের উচিত ব্যাপারটা খোলসা করা।’’
ইকবাল মিরচি নিজে লন্ডনে ২০১৩ সালে মারা গিয়েছে। হাজরা মেমনের সঙ্গে প্রফুল্লর তথাকথিত ‘রফা’ হয় ২০০৭ সালে। এই নিয়ে তদন্তে একাধিক সম্পত্তিই ইডির নজরে রয়েছে, যার অন্যতম হল মুম্বইয়ে ওরলি এলাকার সিজে হাউস। বাড়িটা মিরচির নামাঙ্কিত জমিতেই রয়েছে। ইডি-র দাবি, ২০০৫ সালে প্রফুল্ল ওই বাড়ি নতুন করে নির্মাণ করিয়েছিলেন। ইকবালের শ্যালক মুখতার মেমনকেও এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পটেল এবং এনসিপি অবশ্য এর মধ্যে দুর্নীতি নেই বলে দাবি করছেন। পটেলের কথায়, বাড়িটা পুরনো, তাতে পটেল পরিবার-সহ ২১ জনের মালিকানা ছিল। ১৯৭৮ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বাড়িটা হাইকোর্টের রিসিভারের অধীনে ছিল। ফলে দুর্নীতির প্রশ্ন ওঠে না। বিজেপি শিবিরের বক্তব্য, একই কাগজে পটেল আর মেমনের সই রয়েছে মানেই চুক্তি হয়েছিল ওঁদের। অভিযোগ, পটেলদের মালিকানাধীন মিলেনিয়াম ডেভেলপার্স সিজে হাউসের দু’টো তলা মেমনকে ছেড়ে দেয়। পটেল তার উত্তরে বলেন, ‘‘কিছু কাগজ ওঁরা পেয়েছেন নিশ্চয়। কিন্তু সেগুলো আমি নিজেই চোখে দেখিনি। হাজরা মেমনের সঙ্গে এক পয়সারও লেনদেন হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy