তৃতীয় এনডিএ সরকারের এক বছর পূর্তির মাথায় আজ দিল্লিতে যে এনডিএ মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হল তাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সংক্রান্ত প্রস্তাবের সঙ্গেই পাশ হল জনগণনার সঙ্গে জাতগণনার প্রস্তাব। আজ জাতগণনার প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বলেছেন, ‘‘সময়ের দাবি মেনেই জাতগণনাকরা হচ্ছে।’’
শুধু বিরোধীরাই নয়, শরিক দলগুলিও দীর্ঘ সময় ধরে জাতগণনার জন্য সরকারের উপরে পরোক্ষ ভাবে চাপ দেওয়ার কৌশল নিয়েছিল। বিশেষ করে ভোটমুখী বিহারের দলগুলি এ নিয়ে ঘরোয়া ভাবে বিজেপি নেতৃত্বের কাছে দাবি জানানোর পথে হাঁটে। তাই বিহারের আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জনগণনার সঙ্গে জাতগণনার সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজকের বৈঠকে জাতগণনা প্রসঙ্গে একটি প্রস্তাব আনেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি। যে প্রস্তাব সমর্থন করেন বৈঠকে উপস্থিত সকলে। সূত্রের মতে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সামাজিক ক্ষেত্রে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন তাঁদের সরকারের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার আওতায় আনার লক্ষ্যেই জনগণনার সঙ্গেই জাতগণনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা বলেন, ‘‘আজকের বৈঠকে জাতগণনা সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকে ওই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন এবং জাতগণনা করার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন। আমরা স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই যে আমরা কোনও ভাবেই জাতভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু সমাজের পিছিয়ে থাকা শ্রেণি, যারা শোষিত ও বঞ্চিত, উন্নয়নের মূল ধারা থেকে দূরে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের উন্নয়নের লক্ষ্যেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ জাতগণনা সময়ের দাবি।’’ তবে জনগণনা কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে সংশয় থাকায় আদৌ কবে জাতগণনার ফলাফল জানা যাবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও দিনক্ষণ জানায়নি মোদী সরকার। যা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)