নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বিহারের শাসকজোট এনডিএ। শুক্রবার সকালে পটনায় একাধিক প্রতিশ্রুতি সম্বলিত ‘সঙ্কল্প পত্র’ প্রকাশ করেন এনডিএ-র নেতারা। ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডা, এনডিএ-র আরও দুই শরিক দল হাম এবং এলজেপি (আর)-এর নেতা জিতনরাম মাঝি এবং চিরাগ পাসওয়ান।
অনেকেই মনে করছেন এ বার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত বিষয় বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিমধ্যেই, ক্ষমতায় এলে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের এক জনকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-এর মুখ্যমন্ত্রী মুখ তেজস্বী যাদব। এনডিএ-র ইস্তাহারেও বলা হয়েছে, তারা ক্ষমতায় এলে বিহারে ১ কোটি মানুষকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে। যুব সম্প্রদায়ের ভোটের কথা মাথায় রেখে ইস্তাহারে বলা হয়েছে, বিহারের প্রতিটি জেলায় একটি করে ‘মেগা স্কিল সেন্টার’ তৈরি করা হবে। সেখানে যুব সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বিহারের ভোটে অতি অনগ্রসর সম্প্রদায় (ইবিসি) বরাবরই নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়ে থাকে। ওই সম্প্রদায়ের ভোটকে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক এবং বিরোধী— দুই পক্ষই। এনডিএ-র নির্বাচনী ইস্তাহারে অতি অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষকে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ওই সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য কী কী জনমুখী প্রকল্প রূপায়ণ করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।
বিহারে মদ নিষিদ্ধ করে হোক কিংবা আরজেডি আমলের ‘জঙ্গলরাজ’ বন্ধ করে— শেষ কয়েকটি বিধানসভা ভোটে মহিলাদের ভোট নীতীশের সঙ্গেই থেকেছে। এই ভোটেও মেয়েদের ভোট নিজেদের ঝুলিতে রাখতে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। লাখপতি দিদি প্রকল্পকে এ বার ‘মিশন কোটিপতি’ করতে চাইছে এনডিএ। এক কোটি মহিলাকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। ইস্তাহারে এনডিএ-র তরফে বলা হয়েছে, তাদের লক্ষ্য বিহারের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান তৈরি এবং প্রতিটি সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন।