যৌথবাহিনীর হাতে ধরা পড়ল এনডিএফবির সেনাধ্যক্ষ রংজা বাজা। তার দেহরক্ষী জংলাউ নার্জারিও ধরা পড়েছে। বড়োভূমির ভারপ্রাপ্ত আইজি এল আর বিষ্ণোই জানান, ‘‘চিরাং জেলার হাকুয়া নদীর কাছে এনডিএফবি ঘাঁটি গেড়েছে জানতে পেরে পুলিশ, এসএসবি ও সেনাবাহিনী মোরাবাড়ি জঙ্গলে অভিযান চালায়। সেখান থেকেই ধরা পড়ে রংজা ও জংলাউ। একটি একে-৫৬ রাইফেল, ১৭০ রাউন্ড একে সিরিজের কার্তুজ, ইনস্যাস রাইফেলের ৫০ রাউন্ড গুলি, চারটি গ্রেনেড সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’’ এনডিএফবি সেনাধ্যক্ষ বাজা ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রূপসী থানার ওসি নারায়ণ বর্মনকে হত্যা করেছিল বলে আইজি জানান। গত বছরের আদিবাসী নিধনেও তার মুখ্য ভূমিকা ছিল। গত সপ্তাহেই গজরাজ কোরের জিওসি শরত্ চাঁদ চিরাং জেলায় এসে ঘোষণা করেন, এনডিএফবির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী চূড়ান্ত পর্যায়ের আঘাত হানতে চলেছে। প্রায় ৪ হাজার জওয়ান এনডিএফবি নিধন অভিযানে অংশ নিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে সেনাধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা যৌথ বাহিনীর বড় সাফল্য বলেই নিরাপত্তা বাহিনী মনে করছে। সেনাবাহিনীর দাবি, দলের মাথা জি বিদাই ও তার ডান হাত কে বাথারের সঙ্গে আর মাত্র ২০-২৫ জন ক্যাডার মানসের জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। গত ছ’মাসে ১৮ জন এনডিএফবি জঙ্গিকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী, ধরা পড়েছে ৫৪১ জন। উদ্ধার হয়েছে ১৭৬টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৮৪টি গ্রেনেড।