Advertisement
E-Paper

ডাক্তারি পড়া হল না আর, বাংলার ছাত্রের মৃত্যু রাজস্থানের কোটায়, উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

কোটায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে। প্রশাসন, কর্তৃপক্ষের তরফে নানা চেষ্টা করেও ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। চলতি বছরে ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮-এ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৩
An image representing death

—প্রতীকী চিত্র।

বাংলা থেকে পড়তে যাওয়া এক ছাত্রের মৃত্যু হল রাজস্থানের কোটা শহরে। সেখানে ঘরভাড়া নিয়ে থাকছিলেন ২০ বছরের ওই ছাত্র। সোমবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরে কোটায় ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম ফৌরিদ হোসেন। ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই তিনি কোটায় গিয়েছিলেন। থাকছিলেন কোটার ওয়াক্ফ নগর এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গের কোথায় ওই ছাত্রের বাড়ি, এখনও জানা যায়নি।

ফৌরিদের সঙ্গে অন্য ছাত্রেরাও থাকতেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ ফৌরিদকে তাঁরা শেষ বার দেখেছিলেন। এর পর ঘরে ঢুকে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন ফৌরিদ। দীর্ঘ ক্ষণ পরেও দরজা না খুললে তাঁর বন্ধুদের সন্দেহ হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, ফৌরিদ ফোনও ধরছিলেন না। ভিতর থেকে কোনও সাড়াও দিচ্ছিলেন না। এর পর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ির মালিককে খবর দেন ছাত্রেরা।

বাড়ির মালিক পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। ছাত্রের বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার পরেই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে পুলিশ।

কোটায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে। প্রশাসন, কর্তৃপক্ষের তরফে নানা চেষ্টা করেও ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। কোটা শহরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে যান। ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোটার অলিগলিতে রয়েছে বহু কোচিং সেন্টার। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই পড়ার চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন না। সেই কারণে বেছে নেন মৃত্যুর পথ। আত্মহত্যা ঠেকাতে কোচিং সেন্টারগুলিতে চাপ কমানো, পরীক্ষার ফল প্রকাশ্যে না বলার মতো একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি।

Student Death Kota Rajasthan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy