মুম্বইয়ের স্টুডিয়োয় ১৭ শিশুকে পণবন্দির ঘটনায় অভিযুক্ত অপহরণকারী রোহিত আর্যের পরিবার সম্পর্কে নানা তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রোহিতেরা যে এলাকায় থাকতেন, সেখানে প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না। কোথরুড়ের শিবতীর্থ নগরে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন রোহিত এবং তাঁর স্ত্রী। ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন রোহিত। তিন বছরের জন্য সেই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি আর্যের নামে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফ্ল্যাটটি দেশপাণ্ডে নামে এক ব্যক্তির। প্রতিবেশীদের দাবি, রোহিত বদমেজাজি ছিলেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে পড়শিদের খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না। প্রতিবেশীরা রোহিতের আচরণ নিয়ে একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বার বার অভিযোগ ওঠায় ফ্ল্যাটের মালিক এক মাসের মধ্যে ঘর খালি করার জন্য নোটিস ধরান রোহিতদের। কিন্তু ফ্ল্যাট খালি করতে রাজি হননি রোহিত। শুধু তা-ই নয়, ভাড়া দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ফ্ল্যাট খালি করার জন্য এ বছরের মার্চে আর্য দম্পতিকে আইনি নোটিস দেন মালিক। কিন্তু তার পরেও ফ্ল্যাট ছাড়তে রাজি হননি রোহিত। এমনকি মালিকের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনা নিয়ে সমস্যা বাড়তে থাকায় ফ্ল্যাটমালিক পৌনে দু’লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য হন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন রোহিত। তার পরেও ফ্ল্যাট খালি করতে রাজি হননি রোহিতেরা। অবশেষে গত মে মাসে পুলিশ এসে তাঁদের ফ্ল্যাট ছাড়তে বাধ্য করে। তার পর তাঁরা এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্টুডিয়োয় ১৭ শিশুকে পণবন্দি করেন রোহিত। সাড়ে তিন ঘণ্টার টানটান মুহূর্তের পর সমস্ত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয় অপহরণকারীর।