ভুবনেশ্বের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি)-র হস্টেলে আত্মঘাতী এক নেপালি ছাত্রী। তার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদের। পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মৃতার। ‘প্রেমিক’-এর সঙ্গে সমস্যার কারণে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বিক্ষোভকারী নেপালি ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, আচমকাই তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলেছেন কর্তৃপক্ষ। ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টিও ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সন্দেহ, এই দুইয়ের মধ্যে ‘যোগ’ থাকতে পারে। এই মৃত্যু নিয়ে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
রবিবার হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ। তাঁর বন্ধুরা দাবি করেছেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অদ্বিক শ্রীবাস্তবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তরুণীর। ওই যুবক তাঁকে হেনস্থা করতেন। সে কারণে ছাত্রীটি চরম পদক্ষেপ করেছেন। পুলিশ অদ্বিককে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
এর মধ্যেই রবিবার থেকে শয়ে শয়ে পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন, ‘বিচার চাই’। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেআইআইটির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রবিবার হোস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী হয়েছেন এক ছাত্রী। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। মনে করা হচ্ছে, তার জেরে কোনও কারণে আত্মহত্যা করেছেন ছাত্রীটি। পুলিশও জানিয়েছে, সম্পর্কে ‘জটিলতা’র কারণেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী।
যদিও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য নেপালি পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের ‘জোর করে’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার করে দেওয়া হচ্ছে। এত কম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে তাঁরা কোথায় যাবেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন। অভিযোগ, সোমবার তাঁদের কয়েক জনকে বাসে চাপিয়ে কটক স্টেশনে ছেড়ে আসা হয়েছে। এই নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি।