নানা মহলের সংশয় উড়িয়ে বহু বারই তিনি জানিয়েছেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইপেইয়ে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর বাবা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছিল এবং তাঁর দেহাবশেষ জাপান থেকে ভারতে ফিরিয়ে এনে যথাযথ ভাবে শেষকৃত্য করা হোক। শনিবার সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে জারি করা এক বিবৃতিতে ফের সেই আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, ‘ভারতের স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও এক জাতীয় নায়ক নির্বাসিত।’ ওই বিবৃতিতে ১৯৪৫-এর ১৮ অগস্ট তাইপেইয়ে বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু হয় বলে জানিয়ে অনিতা লিখেছেন, ‘তাইপেইয়ে নেতাজির দাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে তাঁর দেহাবশেষ টোকিয়ো নিয়ে যাওয়া হয়। টোকিয়োর রেনকোজি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের অনুরোধে তার দেহাবশেষ ‘কয়েক মাস’ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন’। অনিতা আরও লিখেছেন, ‘আজ প্রায় ১০০০ মাস পরেও নেতাজির দেহাবশেষ সেই রেনকোজি মন্দিরেই রয়েছে, যত্নে ও সম্মানের সঙ্গে, তৃতীয় প্রজন্মের প্রধান পুরোহিতের তত্ত্বাবধানে।’
বিবৃতিতে অনিতা লিখেছেন, ‘এক বার নেতাজিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি সবচেয়ে বেশি কী ভয় পান বা ঘৃণা করেন। উত্তর ছিল, ‘নির্বাসন’।’ স্বাধীন ভারতে যে তাঁর বাবার ফেরা হয়নি সে কথা মনে করিয়ে অনিতা লিখেছেন, ‘নেতাজির কন্যা হিসেবে আমি আজকের ভারতীয়দের, যারা তাঁকে স্মরণ করেন এবং শ্রদ্ধা করেন, তাঁদের আহ্বান জানাই— তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরে তাঁর ‘নির্বাসন’ শেষ করতে সাহায্য করুন।’ সুভাষ-কন্যার আর্জি, ‘নেতাজির দেহাবশেষ ভারতের মাটিতে ফিরিয়ে এনে চূড়ান্ত অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া যেন সম্পন্ন করা হয়।’ প্রসঙ্গত, গত বছরও দেশবাসীর কাছে একই আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছিলেন সুভাষ-কন্যা অনিতা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)