ভূমিকম্পের বিপর্যয় মোকাবিলায় কাছাড় জেলার লক্ষ্মীপুর মহকুমায় এক দিনে তিন জায়গায় মহড়া হল। দুর্যোগ মোকাবিলা শাখার উদ্যোগে মহড়ায় অংশ নেয় জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), এনসিসি, মহকুমা পুলিশ ও আসাম রাইফেলস।
ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। অধিকাংশের উৎপত্তিস্থল মায়ানমার। এ বছরের জানুয়ারিতে যে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল, তার উৎস ছিল প্রতিবেশী রাজ্য মণিপুরের তামেংলং জেলা। সীমানার জিরিবামেও এক জনের মৃত্যু হয় সে দিন। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল কাছাড় জেলার লক্ষ্মীপুর মহকুমায়। মণিপুর যেমন পড়শি, মায়ানমারও লক্ষ্মীপুর থেকে খুব দূরে নয়। সড়কপথে ১৬২ কিলোমিটার। আকাশে আরও কম। তাই মহকুমার বিভিন্ন বিভাগকে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকেও আতঙ্কিত হওয়ার চেয়ে সজাগ-সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ভূমিকম্পের সময় কী ভাবে নিজেকে বাঁচানো যেতে পারে বা ভূমিকম্প-পরবর্তী অবস্থায় কী করে পরিজনদের উদ্ধার করা যেতে পারে, সে সবও দু’দিন ধরে সাধারণ মানুষকে শেখানো হয়।
আজ পয়লাপুল কমিউনিটি হল ও জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে ভূমিকম্প বিষয়ক মহড়া হলেও লক্ষ্মীপুর আর্ল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে দেখানো হয় বড় অগ্নিকাণ্ড হলে কী ভাবে সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করা যায়। আজ দুর্যোগ মোকাবিলা শাখা একইসঙ্গে মত বিনিময়েরও আয়োজন করে। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক রাজীব রায়, পুরপ্রধান রিমি পাল, মহকুমাশাসক পি কে গুপ্ত। তাঁরা জানান, অসমের ১০ মহকুমাটি বাছাই করে মহড়ার কাজ চলছে এখন।
গত কাল পয়লাপুল নেহরু কলেজে ভূমিকম্প বিষয়ক একটি কর্মশালাও হয়। তাতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট রাজেশ দত্ত। প্রদীপ জ্বালিয়ে এর উদ্বোধন করেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দিলীপকুমার পাল। ছিলেন জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন, বিধায়ক মিহিরকান্তি সোমও।