এই পোশাকেরই এ বার দেখা যাবে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের। ছবি: সংগৃহীত।
আর চিরাচরিত খাকি উর্দিতে নয়, বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে গেলেই এ বার দেখা যাবে গেরুয়া বসনধারী পুলিশের। এখন থেকে ওই পোশাকেই মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন তাঁরা। আদ্যোপান্ত পুরোহিতের বেশেই তাঁরা ধরা দেবেন পুণ্যার্থীদের কাছে। গেরুয়া বসন, কপালে তিলক, গলায় রুদ্রাক্ষ থাকবে তাঁদের। মন্দিরের গর্ভগৃহের দায়িত্বে যে সব পুলিশকর্মী থাকবেন, তাঁদের ‘ড্রেস কোড’ হতে চলেছে এটাই।
কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত? খাকি পোশাকের বদলে কেন গেরুয়া বসনে দেখা দেবেন পুলিশকর্মীরা? বারাণসীর পুলিশ কমিশনার মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের সামলাতে হয় মন্দিরের দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের। ফলে ধাক্কাধাক্কির মতো ঘটনাও প্রতিনয়ত লেগেই রয়েছে। অনেকে আবার পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তুলছেন। তাই মন্দির চত্বরে পুলিশি ব্যবস্থা অন্য রকম হওয়া উচিত। আর সেই ব্যবস্থা মন্দিরের পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়েই হওয়া উচিত। তার পরই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি পুলিশ কমিশনারের।
পুলিশ কমিশনারের যুক্তি, সাধারণত মন্দিরে গেলে পুণ্যার্থীরা পুরোহিতের কথা সহজেই মেনে নেন। পুণ্যার্থীরা যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করেন, মন্দিরে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখেন, তাই পুলিশকর্মীদের কাজ সহজ করতে তাঁদের পুরোহিতের বেশে নিরাপত্তায় রাখার কথা ভাবা হয়েছে। এই বেশেই পুলিশকর্মীরা পুণ্যার্থীদের সামলাবেন। শুধু তাই-ই নয়, কোথায় কোথায় সতর্ক থাকা উচিত, কী করণীয়, কী করা উচিত নয়, তা-ও পুণ্যার্থীদের জানাবেন এই পুলিশকর্মীরা।
মন্দিরে পুণ্যার্থীদের কী ভাবে সামলাতে হবে, যাতে তাঁদের ব্যবহারে কেউ অসন্তুষ্ট না হন তাই মৃদুভাষী হওয়ার পাশাপাশি অন্য ভাষারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে পুলিশকর্মীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy