Advertisement
২৩ মে ২০২৪
National news

শ্বশুর-শাশুড়ির খাবারে ওষুধ মিশিয়ে টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট দিল নববধূ!

শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার ছোটা পাড়ার ঘটনা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বদায়ুঁ শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:২১
Share: Save:

শ্বশুর-শাশুড়ির মন জুগিয়ে কয়েকদিন চলার পর তাঁদের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে টাকা-গয়না সব নিয়ে চম্পট দিল নববধূ! শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার ছোটা পাড়ার ঘটনা।

গত ৯ ডিসেম্বর আজমগড়ের রিয়া নামে এক তরুণীর সঙ্গে বদায়ুঁর ছোটা পাড়ার পরভিনের বিয়ে হয়। তাঁদের দুজনের পরিচয় এবং বিয়ের সম্বন্ধ করিয়ে দিয়েছিল টিঙ্কু নামে এক ব্যক্তি। টিঙ্কুই পরভিনের বাড়িতে রিয়ার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছিল। রিয়ার নম্র এবং মিশুকে ব্যবহার নিমেষে মন জয় করে নিয়েছিল পরভিনের পরিবারের।

ধুমধাম করে আজমগড়ে তাঁদের দুজনের বিয়ে হয়। রিয়ার বাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার পরিবারের হয়ে পরভিনের বাবার কাছ থেকে চার লাখ টাকা নিয়েছিল টিঙ্কু। সেই টাকাতেই বিয়ের গয়না বানায় রিয়া। গয়না বানিয়েও রিয়ার কাছে কিছু নগদ টাকা রয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: রাজ্যের সমস্ত অশান্ত এলাকায় বন্ধ হল নেট পরিষেবা

পুলিশকে পরভিনের পরিবার জানিয়েছে, ৯ ডিসেম্বর তাদের বিয়ের পর বদায়ুঁর ছোটা পাড়ায় তাঁদের বাড়িতে চলে আসে নববধূ। সব ঠিকঠাকই চলছিল। ১৪ ডিসেম্বর তাদের জন্য রাতের খাবারও বানায় রিয়া। খাবার খাওয়ার পরই ভীষণ অবসন্ন হয়ে আসছিল শরীর। সকলেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরদিন একটু বেলা করেই ঘুম ভাঙে। ঘুম থেকে উঠেই তাঁরা বুঝতে পারেন কী ঘটে গিয়েছে এই এক রাতে। আলমারি থেকে সমস্ত গয়না এবং নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে রিয়া। তার সঙ্গে খোঁজ মিলছে না মধ্যস্থতাকারী টিঙ্কুরও।

আরও পড়ুন: বাবার পেশা নিয়ে বিবাদ, শহরে চলন্ত বাসে স্কুল ছাত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপাল আরেক পড়ুয়া

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, খাবারে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু মিশিয়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে রিয়া-টিঙ্কু। তাদের দুজনেরই খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Fraud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE