ফাইল চিত্র।
সরকারি দফতরের টাকা জঙ্গিদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে নাগাল্যান্ডের এক মহিলা আমলা-সহ তিন সরকারি কর্তাকে কোহিমা থেকে গ্রেফতার করল এনআইএ। বিভিন্ন দফতর থেকে গোপনে জঙ্গি সংগঠনকে অর্থসাহায্য করা হয় বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ ছিল। পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলার পরে সমাজকল্যাণ দফতরের যুগ্ম সচিব টুলুলা পোনজেন, ভূমি-রাজস্ব দফতরের যুগ্ম সচিব অ্যালিয়েনবা পাংজুং জামির ও একই দফতরের কোষাধ্যক্ষ কে লাসিতো সেকুইকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পরে টুলুলা অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালত তাঁকে হাসপাতালে ও বাকিদের এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
রাজ্যের সব দফতরই এনএসসিএন-এর তিনটি শাখা এবং এনএনসি-কে বার্ষিক কর দেয়। পাশাপাশি, তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও মোটা চাঁদা দিতে হয় সকলকে। এই কথা সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি এনএসসিএন আই-এমের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এ বার থেকে সরকারি কর্মীদের মাসিক ২ শতাংশের বদলে ১ শতাংশ কর দিলেই চলবে। অর্থাৎ, বছরে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকেই ১২ শতাংশ কর দিতে হয়। ওই টাকা সব দফতরের কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সচিবরাই সাধারণত একত্র করে জঙ্গিদের দিয়ে দেন।
গত বছর খাপলাং শাখার নেতা কে সুমিকে গ্রেফতার করার পরে এমন নিয়মের কথা জানতে পারে এনআইএ। বিভিন্ন দফতর থেকে টাকা পাওয়ার নথিও উদ্ধার হয়। তার ভিত্তিতেই নতুন করে তদন্তে নামে তারা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১৪টি সরকারি দফতরে অভিযান চালিয়ে প্রচুর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে এনআইএ।
আরও পড়ুন: সুকমা নিয়ে ফেসবুকে রাজনাথকে তীব্র কটাক্ষ করলেন এক জওয়ান
কিন্তু সব দফতরই টাকা দিলে কেন তিন জন মাত্র ধরা পড়লেন? এনআইএ সূত্রে খবর, ১২টি দফতর নিয়ম করে জঙ্গিদের অর্থসাহায্য করে বলে তদন্তে জানা গেলেও ওই দুই দফতরের কর্তারা ২০১২ সাল থেকে জঙ্গিদের টাকা দেওয়ার সব রসিদ নষ্ট না করে রেখে দিয়েছিলেন। তার ফলেই তাঁদের ধরা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তথ্য-সম্প্রচার, ভূমি ও জল সংরক্ষণ, সেচ, পূর্ত, গ্রামোন্নয়ন, জনসংযোগ দফতরও জঙ্গিদের টাকা দিয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
অবশ্য পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে খবর, নাগাল্যান্ডে জঙ্গিদের সমান্তরাল সরকারকে টাকা দেওয়ার রীতি এতই সার্বিক ও পুরনো যে সকলকে গ্রেফতার করতে গেলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy