দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে আরও এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শোয়েব নামে ফরিদাবাদের ওই বাসিন্দা বিস্ফোরণের আগে মহম্মদ উমর ওরফে উমর নবিকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিনিই উমরকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সাহায্য জুগিয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। দিল্লিতে বিস্ফোরণ এবং ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের তদন্তে এই নিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ।
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে ইতিমধ্যে একটি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। ওই তদন্তে উঠে এসেছে ফরিদাবাদ মডিউলের যোগসূত্র। বিস্ফোরণের ঠিক আগেই ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এই দুই ঘটনাই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ফরিদাবাদকাণ্ডে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসক। বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ির চালক উমরও পেশায় চিকিৎসক।
উমর বা এখনও পর্যন্ত ফরিদাবাদকাণ্ডে ধৃতদের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে হরিয়ানার আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগসূত্র উঠে এসেছে। বিস্ফোরণের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটিও রয়েছে তদন্তকারীদের নজরে। সূত্রের দাবি, এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার শোয়েবও ওই একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি আল ফালাহ্র ওয়ার্ড বয় ছিলেন বলে দাবি সূত্রের। এক বিবৃতিতে এনআইএর তরফে জানানো হয়, শোয়েব ফরিদাবাদের ধৌজ এলাকার বাসিন্দা। দিল্লি বিস্ফোরণের আগে তিনিই উমরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য জুগিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
এই ফরিদাবাদ ‘মডিউল’-এর ধৃতদের মধ্যে প্রথম গ্রেফতার হন কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথর। গত ১৫ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন আদিল। শ্রীনগরে জইশের পোস্টার সাঁটানোর সময় তাঁকে পাকড়াও করা হয়। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল একটি ‘এনজিও’-র আড়ালে কাশ্মীরে ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছে।
সেই সূত্র ধরেই কাশ্মীরের শ্রীনগর, অনন্তনাগ, শোপিয়ানে তল্লাশি চালানো হয়। এ ছাড়া, হরিয়ানা পুলিশের সহযোগিতায় ফরিদাবাদে এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় সাহারানপুরে হানা দেন কাশ্মীরের তদন্তকারীরা। সূত্রে খবর, আদিলকে জেরা করেই পুলওয়ামার বাসিন্দা মুজ়াম্মিল শাকিল গণির নাম উঠে আসে। পেশায় চিকিৎসক মুজ়াম্মিল কর্মসূত্রে হরিয়ানার ফরিদাবাদে থাকতেন ভাড়াবাড়িতে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, তাঁর সাহায্যেই কাশ্মীর থেকে ফরিদাবাদে বিস্ফোরক নিয়ে যান আদিল। সূত্রের দাবি, ফরিদাবাদ থেকে গ্রেফতার শোয়েবের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মুজ়াম্মিলেরও।