পাকিস্তানি গুপ্তচরদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে আরও দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ভারতীয় নৌসেনার গোপনীয় তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচরদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাঁরা। আসামিদের নাম মহম্মদ হারুন হাজি আব্দুল রহমান লকড়াওলা এবং ইমরান ইয়াকুব গিতেলি। মুম্বইয়ের বাসিন্দা হারুনকে সাড়ে পাঁচ বছর এবং ইমরানকে ছ’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ? দিয়েছে আদালত। উভয়কে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর জেলে থাকতে হবে তাঁদের। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে বিশাখাপত্তনমের এক আদালত।
নৌসেনার গোপনীয় তথ্য ফাঁসের মামলার তদন্ত চালাচ্ছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ২০২০ সালের মে মাসে আব্দুলকে গ্রেফতার করে তারা। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বরে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করা হয় ইয়াকুবকে। তদন্তকারীদের দাবি, এই অভিযুক্তেরা পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সঙ্গে নিয়মিত হোয়াটস্অ্যাপ মারফত যোগাযোগ রাখতেন। তাঁদের দু’জনেরই আত্মীয়েরা পাকিস্তানে বাস করেন। তদন্তে উঠে আসে, ওই আত্মীয়দের বাড়িতে যাতায়াতের সময়েই পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সময়ে দেখা করতেন অভিযুক্তেরা।
ভারতীয় নৌসেনার তথ্যপাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া থানায় মামলা রুজু হয়। পরে সেই মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। এই মামলায় মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে নৌসেনার ১১ জন কর্মীও ছিলেন। ২০২০ সালের জুন মাসে মোট ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল এনআইএ। পরে ২০২১ সালের মার্চে আরও একটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এই মামলায় আগেই দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এ বার আরও দু’জনকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল।
আরও পড়ুন:
গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অন্য একটি ঘটনায় রাজস্থান থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, গত দু’বছর ধরে তিনি সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করে আসছিলেন। গত সপ্তাহের শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের গোয়েন্দা বিভাগ। পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআই-এর দু’জনের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মঙ্গতের ফোন, ল্যাপটপ ঘেঁটে তদন্তকারীরা তা জানতে পেরেছেন। অভিযোগ, অলওয়ার সেনা ক্যান্টনমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি পাকিস্তানে পাঠাতেন নিয়মিত।