Advertisement
E-Paper

শিকার কাজল-রশ্মিকা, উদ্বিগ্ন মোদীও! শুধু বিধি নয়, ভারতের এআই মডেল দিয়েও রোখা হবে ডিপফেক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী

ডিপফেক প্রযুক্তি নিয়ে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে সমাজের সর্ব স্তরেই। এই প্রযুক্তিতে কৃত্রিম মেধার সাহায্যে বদলে দেওয়া হচ্ছে কারও শরীর, তো কারও মুখ। এক জনের শরীরে অন্যের মুখ বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভুয়ো ভিডিয়ো। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে শালীনতার মাত্রা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০৭
Regulation on deepfakes soon, two semicon units operational now: Ashwini Vaishnaw

—প্রতীকী চিত্র।

শুধু আইন প্রণয়ন করে কৃত্রিম মেধা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার রোখা যাবে না। উন্নত প্রযুক্তি দিয়েও ‘ডিপফেক’ জাতীয় কুকর্ম আটকাতে হবে। তবে শীঘ্রই এ বিষয়ে বিধি আনা হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

ডিপফেক প্রযুক্তি নিয়ে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে সমাজের সর্ব স্তরেই। এই প্রযুক্তিতে কৃত্রিম মেধার সাহায্যে বদলে দেওয়া হচ্ছে কারও শরীর, তো কারও মুখ। এক জনের শরীরে অন্যের মুখ বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভুয়ো ভিডিয়ো। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে শালীনতার মাত্রা।

এই প্রযুক্তির শিকার হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রীরা। ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছিল অভিনেত্রী কাজলের একটি ডিপফেক ভিডিয়ো। তাতে কাজলকে ক্যামেরার সামনে পোশাক পরিবর্তন করতে দেখা গিয়েছিল। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। ভিডিয়োটি ফেক বা জাল ভিডিয়ো বলে দাবি করেন অনেকেই। এর পরেই ইন্টারনেটের ফ্যাক্টচেকিং সংস্থাগুলি ওই ভিডিয়ো পরীক্ষা করে জানায়, ভিডিয়োটি আসলে এক জন টিকটক তারকার। টিকটকে তিনি পোশাক পরার ভিডিয়ো পোস্ট করেন প্রায়শই। তেমনই একটি ভিডিয়োয় কাজলের মুখ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ এবং রশ্মিকা মন্দানার সঙ্গেও। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত বলে সরব হয়েছিলেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। পরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকার।

অশ্বিনী বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমাধানও জরুরি। নিয়মবিধির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমাধানের কথাও ভাবা হয়েছে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, দেশে ছ’টি এআই মডেল তৈরি হচ্ছে। তার মধ্যে দু’টি ১২০ বিলিয়ম প্যারামিটারের (অনেকটা চ্যাটজিপিটি-র মতো), যা পশ্চিমি প্রভাবমুক্ত এবং নিরপেক্ষ।

প্রসঙ্গত, এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার রুখতে ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের হাতে এখন কৃত্রিম মেধার মতো উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। আমাদের উচিত দায়িত্ববোধের সঙ্গে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা। কেউ যেন এই ধরনের প্রযুক্তি অপব্যবহার না করেন, তার জন্য এ ব্যাপারে উপযুক্ত শিক্ষার প্রসার ঘটানো জরুরি।’’ মোদী এ-ও জানিয়েছিলেন যে, তিনি ইতিমধ্যেই কৃত্রিম মেধা ব্যবহারকারী কম্পিউটার সিস্টেম চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলেছেন।

Deepfake Deepfake Video Rashmika Mandana Deepfake Video
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy