মুকুল হাজরিকা। ফাইল চিত্র
লন্ডনে কর্মরত চিকিৎসক মুকুল হাজরিকাই যে আলফা-স্বাধীনের চেয়ারম্যান ‘অভিজিৎ অসম’ সে সম্পর্কে নিশ্চিত এনআইএ। হাজরিকা ও আলফা স্বাধীনের সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া দেশের ভিতরে ও বাইরে ঘাঁটি গেড়ে, নতুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ জোরদার করার চেষ্টা চালাচ্ছে—এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আজ বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিল এনআইএ। পরেশ বরুয়া ও মুকুল হাজরিকা ওরফে অভিজিৎ অসম ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে আলফা নেতা গগন হাজরিকার।
অরবিন্দ রাজখোয়া গ্রেফতার হওয়ার পরে ২০১১ সালের নভেম্বরে মুকুল ওরফে অভিজিৎ অসম আলফার কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান হন। আলফা বিভাজনের পরে তিনিই হন সংগ্রামপন্থী শাখার স্থায়ী চেয়ারম্যান। ২০১৩ সালে অভিজিৎ ও পরেশ অসমের ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এ খোলাখুলি চিনের সাহায্য চায়। এরপরেই কেন্দ্র এনআইএ-কে আলফার বিরুদ্ধে তদন্ত
চালানোর নির্দেশ দেয়।
লন্ডনে কর্মরত চিকিৎসক মুকুল হাজরিকাই অভিজিৎ অসম কিনা, তা নিয়ে নানা মত ছিল। আলফা ও ওই চিকিৎসক নিজেও আগে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। ২০১৫ সালে মুকুল হাজরিকাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করলেও ব্রিটিশ নাগরিক হাজরিকার বিরুদ্ধে এনআইএ-র হাতে তখন যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, পশ্চিম লন্ডনের কুইন্সওয়েতে ‘কুইন্স ট্রি প্রাকটিস ক্লিনিক’-এ কর্মরত মুকুল হাজরিকা লন্ডন থেকেই ‘অসম ওয়াচ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান। যা দীর্ঘদিন থেকে আলফার ওভারগ্রাউন্ড সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।
আজ চার্জশিট জমা দিয়ে এনআইএ দাবি করেছে, মুকুল হাজরিকাই যে অভিজিৎ, তার তথ্যপ্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। তিনি ইংল্যান্ডে ও পরেশ মায়ানমারে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। তাদের ‘ফেরার’ ঘোষণা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। অবশ্য চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেও এ দিন ফের পরেশ বরুয়া দাবি করেন, মুকুল হাজরিকা একজন মানবাধিকারকর্মী। তাঁর সঙ্গে আলফার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি অভিজিৎ নন। পরেশের কথায়, ‘‘আসলে এনআইএ বা ভারত সরকার আমাদের বিরুদ্ধে
কোনও পদক্ষেপই করতে পারছে না। তাই লোক দেখানো চার্জশিট জমা দেওয়া হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy