Advertisement
E-Paper

দিল্লি বিস্ফোরণ: পাঁচ শহর জুড়ে তল্লাশি এনআইএ-র! অভিযুক্ত চিকিৎসকদের মদত দিয়েছিলেন কারা, খোঁজ চলছে জোরকদমে

তদন্তকারী সূত্রের খবর, যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের ফোন, ডিজিটাল ডিভাইস, কোথায় কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, কাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছিলেন— সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৪৬
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর উন নবি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর উন নবি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এ বার স্থানীয় মদতকারীদের খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচ শহর জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তার মধ্যে রয়েছে লখনউ, কানপুর, সহারনপুর, ফরিদাবাদ এবং জম্মু-কাশ্মীর। তদন্তকারী সূত্রে খবর, এই পাঁচ জায়গাকেই জঙ্গি মডিউল-এর ‘আঁতুড়ঘর’ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ফরিদাবাদের আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহীন সইদকে। সেখানে নিয়ে গিয়ে শাহীনকে একপ্রস্ত জেরাও করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে লখনউ এবং কানপুরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। তদন্তকারী এক সূত্রের দাবি, ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর সদস্যদের কারা মদত দিয়েছিলেন, সব রকম ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, সেই সমস্ত স্থানীয়দের খুঁজে বার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তদন্তকারী সূত্রের খবর, যে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের ফোন, ডিজিটাল ডিভাইস, কোথায় কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, কাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছিলেন— সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের ‘নেটওয়ার্ক’-এর উপর নজরদারি চলছে। তবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, এ রকম আরও অনেকে রয়েছেন যাঁরা উচ্চশিক্ষিত এবং তাঁদের পেশার আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই ‘নেটওয়ার্ক’-এর হদিস পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও ধৃত চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের উপরেও নজরদারি চলছে। উত্তরপ্রদেশ এবং ফরিদাবাদে তাঁরা কাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তাঁদের খোঁজ চলছে।

তদন্তকারী সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের ফোনের তথ্য ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, শুধু উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে এই ‘নেটওয়ার্ক’-এর জাল ছড়িয়ে। সহারনপুরে যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটির পরীক্ষা চলছে। এ ছাড়াও কানপুরের গোপন আস্তানারও হদিস মিলেছে বলে ওই সূত্রের খবর। যাঁরা সরাসরি বিস্ফোরণে জড়িত ছিলেন না, কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটাতে নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের ভূমিকা আলাদা আলাদা ভাবে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Red Fort
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy