গ্রেটার নয়ডায় পণের দাবিতে বধূহত্যার ঘটনায় এ বার বাকি দুই অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ। সোমবার ভোরে সিরসা টোল এলাকা থেকে নিহত নিকি ভাটির ভাশুর রোহিত ভাটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়েছেন শ্বশুর সত্য বীর। অভিযোগ, নিকিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন তাঁরাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে সিরসা টোল এলাকা থেকে রোহিতকে ধরা হয়েছে। ঘটনার দিন, অর্থাৎ ২২ অগস্ট কাসনা থানায় ভাটি পরিবারের চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই রাত থেকেই ফেরার ছিলেন সকলে। রবিবার সন্ধ্যায় জেআইএমএস হাসপাতালের কাছ থেকে মৃতার শাশুড়ি দয়াবতীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতে আহত ছেলে বিপিনকে দেখতে লুকিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মা। পথে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার ভোরে ধরা পড়েছেন বাকি দুই অভিযুক্তও। অন্য দিকে, অভিযুক্ত বিপিনকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২০১৬ সালে ভাটি পরিবারের দুই ছেলে বিপিন এবং রোহিতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নিকি এবং তাঁর দিদি কাঞ্চনের। দুই মেয়ের বিয়েতে সাধ্যমতো যৌতুক দিয়েছিল তাদের পরিবার। স্করপিয়ো গাড়ি, এনফিল্ড বাইক, নগদ, সোনা— নানা উপহার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুশি ছিলেন না। আরও পণ চেয়ে প্রায়ই দুই বোনকে মারধর করা হত বলে দাবি। গত বৃহস্পতিবারও পণের দাবিতে নিকিকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি। অভিযোগ, বিপিন ও তাঁর মা মিলে চুল ধরে টানতে টানতে নিকিকে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নিয়ে আসেন। তার পর গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কাঞ্চন বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় তাঁকেও। ঘটনার দু’টি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। দেখা গিয়েছে, নিকিকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করছেন বিপিন ও তাঁর মা। তদন্তের স্বার্থে সে সব ভিডিয়োও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।