Advertisement
E-Paper

ফাঁসির রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীর

সুপ্রিম কোর্ট কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করেছিল বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংহ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:২৮
বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংহ। —ফাইল চিত্র

বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংহ। —ফাইল চিত্র

ফাঁসির সাজার রায় সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) খারিজ হয়েছে মঙ্গলবার। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই, শেষ চেষ্টা হিসাবে এ বার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করল নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী মুকেশ। সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দেওয়ার জন্য দিল্লি হাইকোর্টেও আবেদন করেছে সে। বুধবার ওই আবেদন শুনবে দিল্লি উচ্চ আদালত।

নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামীর আর্জি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফাঁসির সাজার রায় সংশোধনের আর্জি দায়ের করেছিলেন দুই সাজাপ্রাপ্ত। শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সেই আর্জি এ দিন খারিজ করে দিয়েছেন।

দিল্লির প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়াকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের দায়ে চার জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। এর পর রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হয়। শেষ পর্যন্ত দিল্লির তিস হাজারি আদালত চার দোষীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। নির্দেশ দেন ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহাড় জেলে তাদের ফাঁসি হবে।

তার পর দুই সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংহ সুপ্রিম কোর্ট রায় সংশোধনের আর্জি জানান। সেই আর্জির শুনানি হয় বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে। তবে এজলাশের বদলে বিচারপতির চেম্বারে হয় শুনানি। শুনানির পর আর্জি বাতিল করে দেয় বেঞ্চ।

রায়ের পর নির্ভয়ার মা বলেন, ‘‘এটা আমার কাছে একটা বিরাট দিন। গত সাত বছর ধরে যুদ্ধ করছি। তবে সবচেয়ে বড় দিন হবে ২২ জানুয়ারি, যে দিন চার দোষীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে।’’

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে লিফ্ট দেওয়ার নাম করে বাসে তোলে চালক-সহ ছ’জন। তার পর বাসের মধ্যে অকথ্য নির্যাতন ও গণধর্ষণ করা হয় তরুণীকে। তাঁর বন্ধুকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। দুষ্কর্মের পর তাঁদের চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে ছ’জনকেই গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

এর মধ্যে বিচার চলাকালীনই রাম সিংহ তিহাড় জেলে আত্মহত্যা করেছিল। অন্য এক অভিযুক্ত সেই সময় নাবালক থাকায় তার বিচার হয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে। তিন বছরের সংশোধনের মেয়াদ শেষে সে ছাড়াও পেয়ে গিয়েছে। বাকি চার জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত।

Nirbhaya Case Nirbhaya Rape Case Delhi Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy