Advertisement
E-Paper

বেলাগাম ঘাটতিতে নাজেহাল নির্মলা

চলতি অর্থবর্ষে ঘাটতি ৩.৫ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন নির্মলা। কিন্তু কোভিড ও লকডাউনের জেরে ঘাটতি ৭-৮ শতাংশে পৌঁছনোর আশঙ্কা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৪২
নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।

নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।

করোনা এবং লকডাউনের ধাক্কায় কেন্দ্রের রাজকোষ ঘাটতি লাগামছাড়া। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের সময়ে সম্ভবত রাজকোষের সেই হাঁড়ির হাল তুলেও ধরতে হবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। তার আগে সোমবার বাজেট নিয়ে সমস্ত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে রাজকোষের দুরবস্থাই প্রধান বিষয় হয়ে উঠল।

বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা এক সুরে জানালেন, তাঁদের কোষাগারের অবস্থাও ভাল নয়। এক দিকে, কোভিড মোকাবিলার বিপুল খরচ। অন্য দিকে, লকডাউনের জেরে আয় কমে যাওয়া। ফলে ঘাটতি মাত্রাছাড়া।

চলতি অর্থবর্ষে ঘাটতি ৩.৫ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলেন নির্মলা। কিন্তু কোভিড ও লকডাউনের জেরে ঘাটতি ৭-৮ শতাংশে পৌঁছনোর আশঙ্কা। ফলে তাঁকে ঘাটতি ধাপে ধাপে কমানোর রূপরেখাও বদলাতে হবে। সূত্রের খবর, ২০২৫-২৬ সালে ঘাটতি ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করা হতে পারে। কারণ, নভেম্বরের শেষেই তা সারা বছরের ঘাটতির ১৩৫% ছাপিয়েছে।

রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরেই কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, রাজস্থানের ঘাটতি সারা বছরের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানায় তা ছাপিয়ে যাওয়ার মুখে।

রাজ্যগুলির দুরবস্থা বুঝে কেন্দ্র বাড়তি ঋণ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। জিএসটি খাতে ‘লোকসান’ মেটাতে নিজেরা ধার নিয়ে রাজ্যগুলিকে ঋণ দিচ্ছে দিল্লি। কিন্তু সেই বাড়তি ঋণে শর্ত চাপানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা কেন্দ্রের থেকে বাড়তি অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকারি খরচ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তার টাকা কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে কথা হয়েছে। শেষমেশ বাজেটে কী হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত অবশ্য নির্মলা দেননি।

Nirmala Sitaraman Fiscal deficit
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy