দু’বছরের কম বয়সি শিশুদের কাশির ওষুধ দেওয়া উচিত নয়! কাশির ওষুধ খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের ১১টি শিশুর। সেই মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। শিশুদের জন্য পরামর্শমূলক সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় যে কাশির ওষুধ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, তার নমুনা পরীক্ষা করে কেন্দ্র জানিয়েছে, এতে কোনও বিষাক্ত পদার্থ নেই!
রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কিডনি বিকল হয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল বা এনসিডিসি)। অভিযোগ, কাশির ‘বিষাক্ত’ সিরাপ খাওয়ার ফলেই ওই শিশুদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে। তার পরেই কাশির ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ওই সিরাপের মধ্যে শিশুদের জন্য ‘বিষাক্ত’, এমন কোনও পদার্থ রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে তারা। শুক্রবার জানানো হয়, শিশুমৃত্যুর জন্য যে কাশির সিরাপকে দায়ী করা হচ্ছে, তার নমুনায় কোনও বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যায়নি!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, নমুনা পরীক্ষার ফল থেকে নিশ্চিত যে ওই কাশির ওষুধগুলিতে ডাইথিলিন গ্লাইকন বা ইথিনিল গ্লাইকন ছিল না। উল্লেখ্য, এই রাসায়নিক পদার্থগুলির কারণে কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে যে ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্য পাঁচ জন আগে কোল্ডরেফ এবং নেক্সট্রো সিরাপ খেত! অনুমান, সেই সব ওষুধ খাওয়ার ফলে ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে। তবে সেই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, শিশুদের কাশির ওষুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে সতর্কতাও জারি করল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দরা জেলায় ছয় শিশুর বৃক্ক বিকল হয়ে মৃত্যু হয়। রাজস্থানের সিকার জেলাতেও বৃক্ক বিকল হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই ওই শিশুদের কাশির সিরাপ খাওয়ানো হয়েছিল। তার জেরেই দানা বাঁধে বিতর্ক। ওই কাশির সিরাপ খাওয়ার ফলেই শিশুদের বৃক্ক বিকল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। দুই রাজ্যের প্রশাসনই পৃথক ভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নির্দিষ্ট কিছু কাশির সিরাপ বিতরণের উপরেও আপাতত নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।