Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Niira Radia

শুধু রতন টাটা নন, নীরা রাডিয়ার কোনও টেপেই ‘অপরাধের বিষয়’ নেই, আদালতে জানাল সিবিআই

বুধবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি ঐশ্বর্য ভাটি জানান নীরা রাডিয়ার ২০১০ সালের টেলিফোন- কথোপকথনের টেপগুলিতে কোনও ‘অপরাধমূলক বিষয়’ নেই।

রতন টাটা এবং নীরা রাডিয়া।

রতন টাটা এবং নীরা রাডিয়া। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:৪৬
Share: Save:

রতন টাটা-নীরা রাডিয়ার সেই ‘বিতর্কিত টেপ’ সম্পর্কে এক যুগ পরে সুপ্রিম কোর্টে বক্তব্য জানাল সিবিআই। বুধবার সিবিআইয়ের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছে, শিল্পপতি রতন-সহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কর্পোরেট লবিস্ট নীরার ২০১০ সালের টেলিফোন-কথোপকথনে কোনও ‘অপরাধমূলক তথ্য’ মেলেনি।

ইউপিএ সরকারের আমলে কর্পোরেট লবিস্ট নীরার সঙ্গে দেশের শিল্পপতি, সাংবাদিক, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে টেলিফোন-কথোপকথন কর সংক্রান্ত ১৪টি তদন্তের অংশ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছিল। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে পরবর্তীকালে সেই মামলাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। নীরার সেই কথোপথনের মধ্যে একটি ছিল রতনের সঙ্গে।

বুধবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি ঐশ্বর্য ভাটি জানান, ওই টেপে কোনও ‘অপরাধমূলক বিষয়’ নেই। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট ওই টেপের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছিল।

২০১২-এর অগস্টে টাটা-কর্ণধার সুপ্রিম কোর্টে সরকারের তরফে জমা দেওয়া রিপোর্টের একটি প্রতিলিপি চেয়েছিলেন। যেখানে বলা হয়েছিল কী ভাবে ফোনে কথোপকথন ফাঁস করা হয়েছিল। এ নিয়ে বিবাদের জেরে ‘রাডিয়া টেপ’-কাণ্ড আলোচনার কেন্দ্রে জায়গা করে নেয়। এর পর এ বিষয়ে রতন সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর আবেদন ছিল, ওই ধরনের টেপ ফাঁস করে দেওয়ায় তাঁর গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ২০১৭-এর অগস্টে সুপ্রিম কোর্টের ন’জন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, গোপনীয়তা ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Niira Radia Ratan Tata CBI Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE