দীনেশ ত্রিবেদী। ফাইল ছবি।
গত কালই দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ নিয়ে স্বর চড়িয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা শক্রঘ্ন সিন্হা। আজ একই ভাবে সরব হতে দেখা গেল বিজেপির আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হাকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এঁরা দু’জনেই ছিলেন দিল্লিতে দীনেশের রাজনৈতিক বন্ধু এবং বিজেপি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব মঞ্চ তৈরি করা ‘বিদ্রোহী নেতা’। আজ যশবন্তের কথায়, “পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে ধার করা খেলোয়াড় নিয়ে ম্যাচ জিততে চাইছে বিজেপি। এই ক্ষেত্রেও (দীনেশের তৃণমূল ত্যাগ) তাই। কিন্তু দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগে তৃণমূল এবং বাংলার নির্বাচনে কিছু হেরফের হবে না।”
শক্রঘ্ন গত কাল দীনেশকে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ হিসাবে উল্লেখ করে মন্তব্য করেছিলেন— ‘ব্রুটাস তুমিও!’ তির্যক ভাবে তিনি বলেন, ‘দীনেশের ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’ যশবন্ত সিন্হাও আজ দীনেশকে ‘দীর্ঘদিনের বন্ধু’ হিসাবে বর্ণনা করে বলেন, “আমি ওঁকে অনেক দিন ধরে চিনি। কোনও গণভিত্তি নেই দীনেশের। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর পদত্যাগে তৃণমূল বা বাংলার ভোটে কিছু যাবে আসবে না। হয়তো প্রতীকী প্রভাব কিছুটা পড়লেও পড়তে পারে।” এই প্রসঙ্গেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “বিজেপির কৌশল স্পষ্ট। খেলোয়াড় ধার করে বিভিন্ন রাজ্যে জেতার চেষ্টা করা। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের নেতাদের উপর ভরসা করে না। সঙ্গে এতটাই আর্থিক প্রভাব খাটানো হচ্ছে, যা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কখনও দেখা যায়নি।” শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, গোটা দেশের বিভিন্ন প্রদেশেই বিজেপি এই কৌশল নিয়ে চলছে বলে মনে করছেন তিনি।
যশবন্ত সিনহা বা শত্রুঘ্ন-র মতো নেতারা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেন। এর আগে মমতা দিল্লি এলে তাঁরা দেখা করে বৈঠকও করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূলের নেতাদের বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে টুইট করে যশবন্ত এর আগে বলেছিলেন, ‘নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নেমেছে বিজেপি। নির্বাচনের পরেও এক দফার জন্য প্রস্তুত থাকুন। সে কারণে, তৃণমূলের বিপুল ভোটে জিতে আসাই এখন সময়ের দাবি।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy