Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Uttar Pradesh

‘কেউ সাহায্য করল না’, যোগীরাজ্যে মৃত সন্তানকে কোলে নিয়ে অঝোরে কান্না বাবার

সন্তানহারা বাবার অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর দু’ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, কোনও চিকিৎসা না হওয়ায় তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে।

মৃত  সন্তানকে কোলে নিয়ে  অঝোরে কান্না বাবার

মৃত সন্তানকে কোলে নিয়ে অঝোরে কান্না বাবার

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২১ ১৭:১২
Share: Save:

মৃত সন্তানকে কোলে নিয়ে সরকারি হাসপাতালের গেটের বাইরে ছুটোছুটি করছেন বাবা। গাফিলতির জন্যই মারা গিয়েছে তাঁর ছোট্ট মেয়ে, এমনই অভিযোগ তুলে অঝোরে কেঁদেই চলেছেন ওই ব্যক্তি। ফের অব্যবস্থার করুণ ছবি ধরা পড়ল যোগীরাজ্যে। রাজ্যের রাজধানী লখনউ থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে বারাবাঁকি জেলার সিরাউলি গৌসপুরে। সন্তানহারা বাবার অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর দু’ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, কোনও চিকিৎসা না হওয়ায় তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে।

প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে ওই ব্যক্তি বলছেন, ‘‘সবাই কোভিড নিয়েই ব্যস্ত। হাসপাতালে এসেছি দু’ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে। এক জন চিকিৎসকও আমার মেয়েকে দেখল না। খাট থেকে পড়ে গিয়েছিল। এখন সে মৃত।’’ ক্ষোভ ফুঁসতে ফুঁসতে তিনি বলছেন, ‘‘এটা কেমন ব্যবস্থা? আমায় ধৈর্য ধরতে বলা হচ্ছে। আমার মেয়ে মারা যাচ্ছে আর আমি ধৈর্য ধরে বসে থাকব?’’ আরেকটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে থামানোর চেষ্টা করছেন কিছু পুলিশ। এক পুলিশ কর্মীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘নাটক করছেন কেন?’’ জবাবে ওই ব্যক্তি বলছেন, ‘‘আমার মেয়ে মারা গিয়েছে, আর আপনার এটা নাটক মনে হচ্ছে।’’ ওই ব্যক্তিকে পুলিশে তরফে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তদন্ত করে দেখা হবে বিষয়টি।

বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারাবাঁকি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিকেএস চৌহান। তাঁর দাবি, ‘‘মৃত অবস্থাতেই সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। স্বাস্থ্যকর্মীরা পরীক্ষা করেই ওই ব্যক্তিকে জানিয়ে দেন, তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। উনি হাসপাতালে বলেছিলেন, তাঁর মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Government Hospital Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE