মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।
কোনও মাফিয়া কিংবা বাহুবলী উত্তরপ্রদেশের কোনও শিল্পপতিকে ভয় দেখাতে পারবে না, আতিক আহমেদের খুনের পরে এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আতিকদের মৃত্যুর পর থেকেই সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন যোগী। তার পরেই গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে তাঁর এই অবস্থান বার্তাবহ।
লখনউ ও হরদোইয়ে টেক্সটাইল পার্ক তৈরির জন্য আজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় শিল্পপতিদের সঙ্গে রাজ্যের। সেখানেই শিল্প মহলকে নির্ভয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন যোগী। তাঁর কথায়, “উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা অশান্তির জন্য কুখ্যাত। কিছু জেলার নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেয়ে যান। এখন থেকে ভয়ের কোনও কারণ নেই।” এর পরেই অখিলেশ যাদবের জমানার উল্লেখ করে বলেছেন, ২০১২ থেকে ’১৭ পর্যন্ত রাজ্যে ৭০০টি দাঙ্গা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তেমন আর কোনও ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি যোগীর।
এ দিকে সূত্রের দাবি, জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আতিকদের উপরে হামলা চালায় লভলেশ তিওয়ারি, সানি সিংহ এবং অরুণ মৌর্য। জেরায় অভিযুক্তেরা জানিয়েছে, অপরাধ দুনিয়ায় নাম কুড়োতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। সূত্রের দাবি, লরেন্সের এক ভিডিয়ো দেখেই আতিকদের খুনের পরিকল্পনা করেছিল সানি। তিন অভিযুক্তের মধ্যে সানিই সব চেয়ে ভয়ানক। এই হামলার জন্য লভলেশ ও অরুণকেও জোগাড় করেছিল সানি।
আতিক খুনের তদন্তের মাঝেই এসটিএফ-এর ডিআইজি অনন্ত দেব তিওয়ারি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আতিকের স্ত্রী সাহিস্তা পরভীন ও গুড্ডু মুসলিমকে গ্রেফতার করা যায়নি। উমেশ পালকে খুনের অভিযোগে শীঘ্রই তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হবে। গুড্ডুর খোঁজ দিলে ৫ লক্ষ টাকা এবং সাহিস্তার জন্য ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
আতিক-আশরফ খুনে আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নোটিস পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy