আপাতত রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকে বসার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। জানিয়ে দিলেন রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান সচিন পাইলট। অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে গতকালই দিল্লি এসে পৌঁছন সচিন তিনি। যাবতীয় অভাব-অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তিনি। সোমবার বিকেল পর্যন্ত যদিও সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক হয়নি তাঁর। তবে সনিয়া ঘনিষ্ঠ আহমেদ পটেল এবং দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাও তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু আপাতত রাহুলের সঙ্গে বসার কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়ে দিলেন পাইলট।
অনুগামীদের নিয়ে সচিন পায়লট দিল্লিতে এসে পৌঁছনোর পর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে নানা জল্পনা সামনে এসেছে। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না বলে এ দিন সাপ জানিয়ে দেন সচিন। তাতেই মনে বল পায় কংগ্রেস। বিদ্রোহী নেতার উদ্দেশে সমঝোতার বার্তা পাঠাতে শুরু করে। সনিয়া গাঁধী এবং রাহুল গাঁধী তাঁর সঙ্গে আলোচনায় রাজি বলে দলের তরফে জানানো হয়। রাহুল ও তাঁর মধ্যে যে নিয়মিত কথা হয়, তাঁরা একে অপরকে কতটা শ্রদ্ধা ও স্নেহ করেন, তা-ও প্রচার করা হয়। কিন্তু তাতে যে চিঁড়ে ভিজবে না, পায়লটের বার্তায় তা স্পষ্ট। সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা নেই, তা জানিয়ে দিলেন তিনি।
রাহুলের সঙ্গে বৈঠক না করার কোনও কারণ যদিও খোলসা করেননি সচিন পাইলট। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল থেকে দিল্লিতে রয়েছেন সচিন পায়লট। তাঁর মান ভাঙাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, রাহুল গাঁধীর তরফে এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ চোখো পড়েনি। তাঁর সঙ্গে দেখা করা তো দূর, সচিন পাইলটের উদ্দেশে সরাসরি কোনও বার্তাও দেননি রাহুল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে গেলেও, রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে টুইটারে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তাতেই তাঁর অখুশি সচিন পাইলট।