ক্ষতিপূরণ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই বলেই কৃষি মন্ত্রী তাঁর উত্তরে ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রতীকী ছবি
কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বের দাবি তাঁদের আন্দোলন চলাকালীন ৭০০-রও বেশি কৃষক মারা গিয়েছেন। কিন্তু, কেন্দ্র জানাল, এ নিয়ে তাদের কাছে কোনও ‘তথ্যই নেই’। বিরোধীরা সংসদে লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলেন, আন্দোলনের সময় যে কৃষকরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিয়েছে। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর জানান, ‘‘কৃষিমন্ত্রকের কাছে কোনও তথ্যই নেই, কত জন কৃষক মারা গিয়েছেন, তাই প্রশ্নই ওঠে না ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।’’
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে চলা কৃষক আন্দোলনে ৭০০-রও বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন কৃষক আন্দোলনের নেতারা। আন্দোলন চলাকালীন মূলত খারাপ আবহাওয়া, অসুস্থতা এবং আত্মহত্যার কারণে কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে। বিরোধীরাও দাবি করে এসেছেন মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। কিন্তু, এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের আপাতত কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই কৃষি মন্ত্রী তাঁর উত্তরে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বকেয়া দাবিগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সংযুক্ত কিসান মোর্চা বারবার সরকারকে আলোচনার টেবিলে বসতে বলেছে। বিরোধীরাও লিখিত ভাবে জানাতে চেয়েছেন, কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কত বার আলোচনায় বসতে চেয়েছে কেন্দ্র। এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘ আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্র ধারাবাহিক ভাবে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে।’’
বিরোধীদের প্রশ্নের মধ্যে ছিল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে(এমএসপি)-র প্রসঙ্গটিও। এ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইস (সিএসিপি)-এর সুপারিশ অনুযায়ী রবি এবং খরিফ মরসুমে ২২টি অর্থকরী ফসলের ন্যূনযতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই মতো কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংস্থা কৃষকদের থেকে ফসল সংগ্রহ করে থাকে। এর ফলে অনুমোদিত ফসলগুলির বিক্রয়মূল্য বাড়ে।
এ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র সিংহ তোমর আরও জানান, ‘‘ কেন্দ্র ইতিমধ্যেই কৃষকদের এমএসপি নিশ্চিত করতে অন্নদাতা আয় সুরক্ষা অভিযান বাস্তবায়িত করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy