E-Paper

‘রামের অতিথিদের’ জন্য কাজ, গর্বিত নুর

রামমন্দির চত্বরের লাগোয়া নুরের জমিতেই দর্শনার্থীদের একাংশের জন্য থাকার ঘর, রান্নাঘর থেকে শৌচালয়, সবই গড়ে উঠছে। দিন ভর সেখানেই ব্যস্ত নুর।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৩
ram mandir

অযোধ্যার নির্মিয়মান রাম মন্দির। —ফাইল চিত্র।

রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আগামী ২২ জানুয়ারি পুজো দিতে আসা এবং দর্শনার্থীদের একটা বড় অংশের জন্য যে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তা দেখভালের ভার পেয়েছেন তিনি। তাঁর জমিতেই সে কাজ হচ্ছে। সে সব নিয়ে এই মুহূর্তে চরম ব্যস্ত নুর আলম। সেই কাজ দেখার পাশাপাশি খুলে ফেলেছেন চা এবং টুকটাক খাবারের দোকানও। উদ্বোধনের আগে
যাঁরা মন্দির পরিদর্শনে আসছেন, তাঁদের অনেকেই সেখান থেকে চা-জলখাবার খাচ্ছেন।

রামমন্দির চত্বরের লাগোয়া নুরের জমিতেই দর্শনার্থীদের একাংশের জন্য থাকার ঘর, রান্নাঘর থেকে শৌচালয়, সবই গড়ে উঠছে। দিন ভর সেখানেই ব্যস্ত নুর। দেখছেন দূর দূর থেকে আসা লোকেদের কারও কোনও রকম সমস্যা যেন না হয়।

রামমন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে সাজো সাজো পড়ে গিয়েছে অযোধ্যা জুড়ে। দ্রুত বদলে যাচ্ছে অযোধ্যার চেহারাও। অনেকেই তার মধ্যে নিজেদের রুটিরুজির ব্যবস্থা করে নিতে নেমে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যেই নুর আলমের জমিটা একেবারে মন্দির চত্বর লাগোয়া। সেখানেই দর্শনার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মন্দির কমিটিই তাঁকে সে কাজ দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে। মন দিয়ে সে কাজ করার ফাঁকে নিজের ব্যবসাও চালাচ্ছেন তিনি। একটি টিভি চ্যানেলের তরফ থেকে সম্প্রতি মন্দিরের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন সেখানকার সাংবাদিকেরা। তখন চলছিল রান্নাঘরের কাজ। এক সঙ্গে ২০ হাজার লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা হবে সেখানে। তখনই নজরে আসে নুর আলমের ব্যস্ততা। কোনও কাজে যাতে কোনও ভুলত্রুটি না হয়, সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন তিনি।

তাঁরই ফাঁকে জানালেন, তাঁর ছোটবেলার অযোধ্যা আর নেই। সেই উত্তেজনার পরিবেশ বদলে গিয়ে এখন চারদিকে উন্নয়নের ছোঁয়া। আগত মানুষদের জন্য চা-জলখাবার বানানোর ফাঁকে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলা সেই উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো চোখে জল নুর আলমের।

তাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সে প্রসঙ্গে নুর বলছেন, ‘রামের অতিথি’দের জন্য কাজ করতে পেরে তিনি গর্বিত। টিভি চ্যানেলটিকে তিনি বলেছেন, ‘‘ভগবান শ্রীরামের অতিথিদের জন্য খাবার তৈরি করার চেয়ে ভাল কাজ আর কী হতে পারে?’’ তাঁকে নিয়ে মুসলিমদের একাংশের ক্ষোভকে একদমই পাত্তা দিতে চান না নুর। বরং নিজের কাজ এবং মন্দিরের কাজ দেখতে আসা লোকেদের জন্য চা-জলখাবারের ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান তিনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ayodhya Ram Mandir Ayodhya Ram Temple

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy