যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
একের পর এক হিংসার ঘটনায় আগুন জ্বলেছে উন্নাও, বুলন্দশহরের মতো জায়গায়। হিংসায় বলি হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। সেই হিংসার আগুন যে তাঁকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করেনি, সে কথাই যেন শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গলায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর আমলে রাজ্যে একটি মাত্রও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। নেই হানাহানির ঘটনা। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশের ২১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন যোগী। অর্থাৎ, এ মাসের দু’বছর পূর্ণ করছে যোগী সরকার। মঙ্গলবার সেই পূর্তি উপলক্ষে এক সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আদিত্যনাথ। সেখানেই এমন দাবি করেন তিনি। এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘দেশের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ মডেল তৈরি করেছে।’’
অনুষ্ঠানে আদিত্যনাথের দাবি, ২০১৭ সালের আগে এসপি, বিএসপি মতো দলগুলো রাজ্যে মাফিয়া রাজ কায়েম করেছিল। এর পরই সেই সময়টাকে ‘দুর্নীতির যুগ’ বলে কটাক্ষ করেন যোগী। মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘২০১২ সালে ২২৭টি, ২০১৩তে ২৪৭, ২০১৪তে ২৪২টি, ২০১৫তে ২১৯টি এবং ২০১৬ তে ১০০টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু, ২০১৭ সালের পর থেকে একটিও সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেনি রাজ্যে।’’
শুধু হিংসা হয়, গত দু’বছরে বিজেপির শাসনকালে অ্যাসিড হামলা, অপহরণের মতো ঘটনা ঘটেনি। এ জন্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির কথাই তুলে ধরেছেন যোগী। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত শিক্ষকের মৃত্যু পুলিশি হেফাজতে
তবে,যতই মুখে ‘শান্তি’র কথা বলুন না কেন, বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু, মোটেই সে কথা বলছে না। গ্রামের বাইরে জঙ্গলের ধারে গোমাংস ছড়িয়ে রয়েছে— এমনই এক খবরে দাবানলের মতো হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল বুলন্দশহরে। প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিকও। আহত হয়েছিলেন অনেকে। আবার উন্নাওয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছিল গোটা দেশে। সেই নাম জড়িয়েছিল এক বিজেপি বিধায়কের।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy