ছবি: পিটিআই।
গত বছর যাত্রা বাতিল হয়েছে। এ বছর তাঁদের কোনও ভাবেই আটকে রাখা যাবে না। কোভিডবিধি এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রবিবার হরিদ্বারে পৌঁছে গেলেন বহু কাঁওয়াড় যাত্রী। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিনে হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গার জল সংগ্রহ করা হিন্দুদের বহু পুরনো রীতি। এই আচার পালনে তাঁদের যদি শাস্তির মুখে পড়তে হয়, তাতে কোনও আপত্তি নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন দলে দলে হরিদ্বারে আসা তীর্থযাত্রীরা।
এ বছরও অতিমারি পরিস্থিতির কারণে কাঁওয়াড় যাত্রা বাতিল করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। পুলিশের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কোনও তীর্থযাত্রী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হরিদ্বারে প্রবেশ করলে তাঁকে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে পাঠানো হবে। তা সত্ত্বেও কাঁওয়াড় যাত্রীরা কী ভাবে হরিদ্বারে প্রবেশ করলেন, তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
কৌটোয় গঙ্গার জল সংগ্রহ করতে করতে হরিয়ানা থেকে আসা এক তীর্থযাত্রী বলছেন, কোভিডবিধি নিয়ে তাঁরা একেবারেই ভাবিত নন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা করোনাকে ভয় পাই না। নিভৃতবাসে যেতেও আপত্তি নেই আমাদের।’’
হরিদ্বারের পুলিশ সুপার সেনথিল অভুদাই বলেন, তীর্থযাত্রীরা যাতে এ বছর না আসেন, সেই বার্তা তুলে ধরতে গোটা হরিদ্বার জুড়েই পোস্টার ফেলা হয়েছে। এর পরও যদি কেউ আসেন, কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত বছর কাঁওয়াড় যাত্রা বাতিল হওয়ায় উত্তরাখণ্ড থেকে ট্যাঙ্কারে করে গঙ্গাজল পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ বহু রাজ্যে। তার আগের বছর গোটা দেশ থেকে প্রায় তিন কোটি তীর্থযাত্রী এসেছিলেন হরিদ্বারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy