যেখানে খুশি অভিযোগ জানাতে পারেন। কেউ কিছু করতে পারবে না তাঁর। নির্যাতিতার দোকানে এসে তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
কাউন্সিলরের স্বামীকে নির্যাতিতার দোকানে আসতে দেখা যায়। নির্যাতিতা ভিডিয়ো করা শুরু করেন। কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, সমাজমাধ্যমে এই ঘটনা ছড়িয়ে দেব। তখন অভিযুক্তকে পাল্টা বলতে শোনা যায়, তাতে কী হবে? নির্যাতিতা উত্তর দেন, সবাইকে জানাব। তখন অভিযুক্ত হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘যেখানে খুশি জানা, আমার কিস্সু হবে না।’’ এর পরই নির্যাতিতা জানান, তিনি অভিযোগ দায়ের করবেন। তখনও আবার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি সতনা জেলার।
নির্যাতিতার দাবি, রামপুর বাঘেলা নগর পরিষদের বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী তাঁকে একে হুমকি দেন। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলেরর স্বামী গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁর দোকানে বার বার এসে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোরাজুরি করা শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। সেই ঘটনার প্রমাণ হিসাবে তিনি একটি ভিডিয়োও করেন বলে দাবি নির্যাতিতার। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সতনার পুলিশ সুপার হংসরাজ সিংহ জানিয়েছেন, নির্যাতিতা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ছ’মাস আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে দাবি করেছেন। কিন্তু পরিবার এবং নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে এত দিন চুপ করে ছিলেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মামলাটি ডেপুটি পুলিশ সুপার মনোজ ত্রিবেদীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করেন বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সেই ঘটনার ভিডিয়োও করেন। জানাজানি করার চেষ্টা করলে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। গত ২০ ডিসেম্বর অভিযুক্ত তাঁর বাড়িতে আবার আসেন। তাঁর যৌনহেনস্থা করেন। সঙ্গে হুমকি দেন, যদি তাঁর কথা না শোনেন, তা হলে ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হবে। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, প্রতি দিন তাঁর দোকানে আসেন অভিযুক্ত। তাঁকে শাসিয়ে যান। স্থানীয় থানার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতা। স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তার পরই তিনি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন।