প্রতীকী ছবি।
ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমে পড়ুয়াদের আগ্রহ কমছে। অল ইন্ডিয়া সার্ভে অব হায়ার এডুকেশন (এআইএসএইচই), ২০১৮-১৯ সালের রিপোর্টে অন্তত সেই ছবিই ফুটে উঠেছে।
প্রতি বছর দেশের উচ্চশিক্ষার ছবিটি কেমন, তা তুলে ধরতে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্র। আজ প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কলা ও ইঞ্জিনিয়ারিং (বি-টেক) পাঠ্যক্রমে চার বছর আগের তুলনায় পড়ুয়ার সংখ্যা কমে গিয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে মোদী সরকার যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের ৪২.৫ লক্ষ পড়ুয়া বি-টেক পাঠ্যক্রমে ভর্তি হন। গত অর্থবর্ষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭.৭ লক্ষে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মতে, দেশে বহু বি-টেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রত্যাশিত মান ছুঁতে ব্যর্থ। ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট হয় না। ফলে বহু ইঞ্জিনিয়ার পাশ করে বসে রয়েছেন। অনেকে মনে করাচ্ছেন, দেশে নতুন চাকরির সুযোগ ক্রমশ কমে আসছে। তার ফলেও পড়ুয়ারা আগ্রহ হারাচ্ছেন বি-টেক পাঠ্যক্রম থেকে।
পড়ুয়াদের সংখ্যা তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বিএড পাঠ্যক্রমে। শিক্ষকতার চাকরি নিশ্চিত করতেই পড়ুয়ারা পাঠ্যক্রমে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সমীক্ষায় প্রকাশ, ২০১৪-১৫ সালে যেখানে ৬.৫ লক্ষ পড়ুয়া বিএড-এ ভর্তি হয়েছিলেন সেখানে গত বছরে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লক্ষতে। পড়ুয়া বেড়েছে বিএসসি বা বি-কমের পাঠ্যক্রমেও। বর্তমানে গোটা দেশের ২৬.৩ শতাংশ পড়ুয়া উচ্চশিক্ষার আঙিনায় রয়েছেন। ২০২২ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ পড়ুয়াকে উচ্চশিক্ষায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy