ঘটনার মাসখানেক আগেই কাছের এক বন্ধুকে সব বলেছিলেন ওড়িশার নির্যাতিতা। কী ভাবে বিভাগীয় প্রধান তাঁকে দিনের পর দিন হেনস্থা করে চলেছেন, বলেছিলেন সে কথা। গত মঙ্গলবার নির্যাতিতার মৃত্যুর পর তা-ই প্রকাশ্যে আনলেন সেই বন্ধু।
বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত শনিবার কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি নিজের গায়ে আগুন দেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন আরও এক ছাত্র। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। নির্যাতিতার শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। শনিবার তাঁকে ভুবনেশ্বর এমসে স্থানান্তরিত করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। দিন তিনেকের লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন:
নির্যাতিতার বন্ধু বলেন, ‘‘ওরা অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিল। অধ্যক্ষ বলেছিল, একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আরও সময় চাই। এর পর আমরা বন্ধুরা কয়েক জন কলেজের বাইরে যাই কিছু ক্ষণের জন্য। খেতে গিয়েছিলাম আমরা। ও (নির্যাতিতা) ভিতরেই ছিল। কিছু ক্ষণের ফোন। ফোনের ও পার থেকে বলা হল, আমাদের বন্ধুকে নাকি অগ্নিপরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। অগ্নিপরীক্ষা শব্দটা ব্যবহার করছি এই কারণে যে, নিশ্চয়ই অধ্যক্ষ এমন কিছু বলেছিল, ও সহ্য করতে পারেনি। বিচারের জন্য লড়তে লড়তে একেবারে ভেঙে পড়েছিল ও। একটা মানুষ মানসিক ভাবে কতটা বিধ্বস্ত হলে এ কাজ করতে পারে!’’
কলেজছাত্রীকে হেনস্থায় অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধানকে প্রথমে এবং পরে অধ্যক্ষকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন।