পুরীতে অগ্নিদগ্ধ কিশোরীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় বিবৃতি প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে দিল্লি এমস। পুরীর ওই নাবালিকার শরীরের ৭৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। রবিবারই তাকে ভুবনেশ্বর এমস থেকে ‘এয়ারলিফ্ট’ করে দিল্লি এমসে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রবিবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে দিল্লি এমসে ভর্তি করানো হয় কিশোরীকে। আপাতত সেখানে ‘বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ব্লক’-এর বার্ন আইসিইউতে সে চিকিৎসাধীন। দিল্লি এমস জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল সর্ব ক্ষণ তার শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে মেয়েটির রাস্তা আটকে দাঁড়িয়েছিলেন তিন জন। কিছু ক্ষণ মেয়েটির সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, তার পরেই মেয়েটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালান তিন জন। দগ্ধ অবস্থায় রাস্তায় ছটফট করছিল মেয়েটি। কয়েক জন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর যায় পুলিশের কাছে। পরে মেয়েটিকে ভুবনেশ্বর এমসে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার শরীরের ৭৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। ভুবনেশ্বর এমস থেকে শনিবারই জানানো হয় তার অবস্থা সঙ্কটজনক। পুড়ে যাওয়ার কারণে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। হাত-পা, পিঠের অংশও পুড়ে গিয়েছে। পরে শনিবার বিকেলেই তাকে দিল্লি এমসে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও অভিযুক্তদের কেন গ্রেফতার করা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওড়িশা সরকারের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীদল বিজেডি। শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ওড়িশা পুলিশের ডিজি ওয়াইবি খুরানিয়া। তিনি বলেন, “একটি অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে। এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়।” পুরীর পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ধরার জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
কিশোরীর পরিবারের দাবি, এক বন্ধুকে বই দেওয়ার জন্য শনিবার সকালে বেরিয়েছিল ওই ছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। পারিবারিক বা ব্যক্তিগত শত্রুতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে তারা। তা ছাড়া প্রণয়ঘটিত কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেছে পরিবার।