Advertisement
E-Paper

বিল মেটানোর ক্ষমতা নেই, হাসপাতালে হাত-পা বেঁধে রাখা হল রোগীর

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিল না মেটাতে পারার জন্য ওই রোগীর হাত, পায়ে দড়ি বেঁধে রাখা হয়েছিল বলে মানতে চাননি।

প্রবীণ রোগীর হাত, পা বেঁধে রাখা হাসপাতালের বেডে। মধ্যপ্রদেশে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

প্রবীণ রোগীর হাত, পা বেঁধে রাখা হাসপাতালের বেডে। মধ্যপ্রদেশে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২০ ১২:১৬
Share
Save

হাসপাতালের শয্যায় হাত আর পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল এক প্রবীণ রোগীর। চিকিৎসার পর হাসপাতালের বকেয়া বিল তাঁর পরিবার, পরিজন মেটাতে পারেনি, এই ‘অপরাধে’। এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের।

মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলার ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিল না মেটাতে পারার জন্য ওই রোগীর হাত, পায়ে দড়ি বেঁধে রাখা হয়েছিল বলে মানতে চাননি। হাসপাতালের বক্তব্য, প্রবীণ রোগীর খিঁচুনি ছিল। তার ফলে, যে কোনও সময় শয্যা থেকে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হতে পারতেন। তাই শয্যায় তাঁর হাত ও পায়ে দড়ি বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাঁর বকেয়া বিলও মকুব করে দেওয়া হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। পরে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শাজাপুর জেলা প্রশাসনও।

আরও পড়ুন- মোট আক্রান্তে স্পেনকে টপকে বিশ্বে পাঁচ নম্বরে ভারত

আরও পড়ুন- ভ্যাকসিন তৈরি, শুধু...’, চাপের মুখে ট্রাম্প-বার্তা​

ওই প্রবীণ রোগীর কন্যা জানিয়েছেন, তাঁর বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় তাঁরা অগ্রিম ৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। তার পর হাসপাতালে কয়েক দিন রাখতে হয় ওই প্রবীণকে। তাতে আরও ১১ হাজার টাকা বিল হয়। কিন্তু সেই বিল তাঁদের মেটানোর আর সামর্থ ছিল না।

হাসপাতালের এক চিকিৎসক অবশ্য জানিয়েছেন, ওই রোগীর খিঁচুনি ছিল। আমরা ওঁকে বেঁধে রেখেছিলাম যাতে শয্যা থেকে আচমকা পড়ে গিয়ে উনি আহত না হন। সেই চিকিৎসক এও জানান, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই দেখা হয়েছিল ওই রোগীকে। তাঁর বকেয়া বিল মকুবও করে দেওয়া হয়েছিল।

madhya pradesh Shajapur district hospital bed

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}