তুষারপাতের মধ্যেই নিহতদের দেহ ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ। সোমবার শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে। নিজস্ব চিত্র
একমাত্র নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই শ্রীনগরে সংঘর্ষে নিহত দুই যুবক ও এক কিশোরের পরিবার শান্তি পেতে পারে বলে মন্তব্য করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। আজ ওই তিন জনের দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যেরা।
ডিসেম্বরে শ্রীনগরের হোকেরসার লয়াপোরায় এক সংঘর্ষে নিহত হন পুলওয়ামার বাসিন্দা বছর ছব্বিশের আজাজ় মকবুল গনাই, বছর বাইশের জ়ুবেইর আহমেদ লোন ও বছর ষোলোর আতহার মুস্তাক ওয়ানি। বাহিনীর দাবি, এঁরা জঙ্গিদের সহযোগী। কিন্তু ওই তিন জনের পরিবারের দাবি, নিহতেরা নির্দোষ। আজ তুষারপাতের মধ্যেই প্রেস এনক্লেভে সুবিচার ও তিন জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ হয়। আতহার মুস্তাক ওয়ানির বাবা মুস্তাক ওয়ানি বলেন, ‘‘আমার কাছ থেকে ওরা সব কিছু কেড়ে নিল। এ বার আমাকেও মেরে ওর সঙ্গেই সমাহিত করুক। ভারতীয় সেনারা আরও পুরস্কার পাবেন। সেনাদের মা-বোনেরা তাঁদের নিয়ে গর্বিত হবেন।’’ বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন দক্ষিণ কাশ্মীরের মানবাধিকার কর্মী অঙ্গদ সিংহও। তিনি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, নিহতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। ভারতীয় সেনাও অন্যায় করতে পারে। শোপিয়ানের আমশিপোরায় রাজৌরির তিন যুবকের কী পরিণতি হয়েছিল আমরা দেখেছি।’’ তাঁর প্রশ্ন, আতহার মুস্তাক ওয়ানির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও মামলা নথিবদ্ধ নেই। তাহলে সে রাতারাতি জঙ্গি সহযোগী হয়ে গেল কী ভাবে? আমশিপোরায় ভুয়ো সংঘর্ষের মামলায় এক সেনা অফিসার-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আজ ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘‘উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হা এ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। দ্রুত সেই তদন্তের ফল প্রকাশিত হলে তবেই এই তিনটি পরিবার শান্তি পাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy