সেনাকর্মী সেজে চিকিৎসককে ‘ধর্ষণে’র অভিযোগ উঠল দিল্লিতে। ২৭ বছর বয়সি ওই তরুণী দিল্লির এক হাসপাতালে কর্মরত। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, সমাজমাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান অভিযুক্ত। সেনায় লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার আধিকারিক বলে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। সেই পরিচয়েই মহিলা চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে ওই যুবক তাঁকে ‘ধর্ষণ’ করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত যুবক এক অনলাইন কেনাকাটা সংস্থার ‘ডেলিভারি এজেন্ট’ হিসাবে কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, লেফটেন্যান্ট পরিচয়ে তিনি প্রথমে ইনস্টাগ্রামে ওই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ জমান। তার পরে হোয়াটস্অ্যাপেও যোগাযোগ হয় দু’জনের। গত পাঁচ মাসে সেনা জওয়ানদের মতো ‘উর্দি’ পরে ওই অভিযুক্ত বিভিন্ন ছবিও পাঠান মহিলা চিকিৎসককে।
এর পরে অক্টোবরে ওই চিকিৎসকের বাড়িতেও যান অভিযুক্ত। সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশ, ওই সময়ে তরুণীর খাবারে মাদক জাতীয় কোনও বস্তু মিশিয়ে দেন তিনি। তার পরেই সেই সুযোগ নিয়ে ওই যুবক তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে গত ১৬ অক্টোবর দিল্লির সফদরগঞ্জ এনক্লেভ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালানোর পরে শেষে ছত্তরপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
অভিযুক্তকে জেরা করে এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত যুবক দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক দোকান থেকে সেনার উর্দির মতো দেখতে পোশাক কিনেছিলেন। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত আধিকারিক স্তরে কোনও বক্তব্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘নিউজ় ১৮’-এর প্রতিবেদনে জানানো হচ্ছে, ভুয়ো পরিচয়ে অভিযুক্ত আর কারও সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।